আপ ক্রোনোলজি সমঝিয়ে / What is the Case?

পার্থ-অর্পিতাকান্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর আগেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা-মন্ত্রী সিবিআই-ইডি’র জেরার মুখে পড়লে বা গ্রেফতার হলেও, এখনকার মত এতটা উত্তাল পরিস্থিতি কখনো হয়নি। শুধু বিরোধীরা নয়, এবার সাধারণ মানুষও মুখ খুলেছে প্রবল ভাবে। ফলে শাসক দল রীতিমত চাপে। বামদলগুলি রাজ্যজুড়ে প্রায় প্রতিদিন রাস্তায় বিক্ষোভ-মিছিল-পথসভা ইত্যাদি লাগিয়ে রেখেছে, কংগ্রেসও তাদের সীমিত ক্ষমতা নিয়ে জায়গায় জায়গায় অবস্থান করছে। কিন্তু খাতায়-কলমে রাজ্যের প্রধানবিরোধী দলকে টেলিভিশনের পর্দা আর ২৮ জুলাই কলকাতায় একটা মিছিল করা ছাড়া আর কোথাও সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য মিম-ট্যুইট যুদ্ধ চলছে।

আর এরই মধ্যে আমাদের হঠাৎ মনে হয়েছে, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই অমোঘ পরামর্শ, “আপ ক্রোনোলজি সামঝিয়ে”র একটা সর্বকালীন প্রয়োগ আছে। তা কেবলই নাগরিকত্ব আইনে সীমাবদ্ধ নয়। নীচের ঘটনাক্রম পড়লেই আপনিও ফেলুদার মত বলতে পারবেন, “আর নিশ্চিন্ত থাকা গেল না রে তোপসে”!

১৪ই জুলাই, ২০২২ । বৃহস্পতিবার

দার্জিলিং-এ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীপ ধনকড়ের মধ্যে সৌজন্য বৈঠক। সেখানে বিশেষ আমন্ত্রিত আসামের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে বাইরে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন চা-বিস্কুট খাওয়া হল। ধনকড় সাহেবও ছবি ট্যুইট করলেন। বামেরা চিরকাল ট্যাঁরাব্যাঁকা কথা বলে। সেটিং সেটিং করে চেল্লায়। কাজেই পাত্তা দিলাম না।

১৬ই জুলাই,২০২২ । শনিবার

সন্ধ্যেবেলা এল মাস্টারস্ট্রোক। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকপুত্র তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নাম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করল।

১৮ই জুলাই, ২০২২ । সোমবার

বিরোধী অক্ষের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে বিশিষ্ট কংগ্রেসনেত্রী মার্গারেট আলভার নাম ঘোষণা। কিন্তু মিটিংয়ে অনুপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেস। তারা সারাদিনে জানালোও না আদৌ বিরোধী জোটের প্রার্থীকে সমর্থন করবে কি না!

১৯ শে জুলাই, ২০২২ । মঙ্গলবার

কয়লা পাচার দুর্নীতি কান্ডে আসানসোল আদালতে সিবিআই-এর প্রাথমিক চার্জশিট পেশ। দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই বারবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও, প্রাথমিক চার্জশিটে তাদের কারোর নাম নেই। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এবং তাদের পেটোয়া কিছু চ্যানেল যারা “ভাইপো গ্রেপ্তার হলো বলে” টাইপের একটা হাইপ তুলে বাজার গরম করছিল, তাদেরকে সেদিন এই খবরে খুঁজেও পাওয়া গেলো না। কে আর গাল বাড়িয়ে চড় খেতে যায়! আর বামেরা সেদিন কংগ্রেসের সাথে গলা মিলিয়ে চেল্লাতে লাগলো “চা-বিস্কুট” সেটিং হয়েছে। তাই মার্গারেট আলভাকে সমর্থনের কথা তৃণমূল খোলাখুলি স্বীকার করছে না। কিন্তু ভাইপো আর তার বউয়ের নাম যে সিবিআই এর প্রাথমিক চার্জশিটে নেই, সেটা নিয়ে সেভাবে চিৎকার করে ইস্যু করতে ব্যর্থ হল। মানে ভাইপো অভিষেক নিজের অজান্তেই বিরোধীদের ব্যর্থতায় খানিকটা রাজনৈতিক অক্সিজেন পেলেন।

২১ শে জুলাই, ২০২২ । বৃহস্পতিবার

“চা-বিস্কুট” কাণ্ডের ঠিক এক সপ্তাহ পর। ফের একটা বৃহস্পতিবার। কলকাতার শহীদ দিবসের মঞ্চ। রাজনৈতিক অক্সিজেন পাওয়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন “৬ মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল দেখবেন।” কেন বললেন, এমন একথা জল্পনার মাঝেই নচিদার “তুমি আসবে বলেই” গানের রেশ ধরে তিনি এলেন মঞ্চে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের শিক্ষাদপ্তরের একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতে জেরবার হয়ে বামপন্থী আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যকে নাম ধরে নজিরবহীন আক্রমণ করলেন। আর তারপর হঠাৎ উপস্থিত জনজোয়ারকে জিজ্ঞেস করলেন “সিবিআই/ ইডি ধরতে এলে ভয় পাবেন না তো!”

এখানে বলে রাখা ভালো মঞ্চে তখন উপস্থিত তৎকালীন তৃণমূল মহাসচিব তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি শহীদ দিবস অনুষ্ঠানের ঘোষক! তিনি তখনও জানেন না আর কয়েকঘন্টার মধ্যেই তিনি রাজনৈতিক শহীদ হয়ে যাবেন।

কিন্তু তার একটা হালকা আভাস সন্ধ্যেতেই ছিল যেটা আমরা অনেকেই পড়তে পারিনি, যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকবে, কারণ মার্গারেট আলভার নাম নির্বাচনের সময় দলকে যথাযথ সম্মান দিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করা হয়নি। এমন জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা সাধারণতঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে করে থাকেন। আর তা না হলে করেন, দলে নাম্বার টু তথা মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিন্তু সেদিন করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! এই কি তবে নতুন তৃণমূলের সূচনা হয়ে গেল! এসে গেলেন দলের নতুন নম্বর টু। তাহলে এখনকার ‘নম্বর টু’র কি হবে! এক সাংবাদিক নতুন তৃণমূল নিয়ে প্রশ্ন করায়, কৌশলে সে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন অভিষেক। সব উত্তর পাওয়া গেল পরদিন।

যদিও বাম-কংগ্রেস তখনও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল-বিজেপির চা-বিস্কুট সেটিং নিয়ে মশগুল। বিজেপি যথারীতি চুপ। মা-কালী কাণ্ডের পর, মুড়ি-জিএসটি নিয়ে সামান্য তর্কাতর্কি! মিমযুদ্ধ! যখন এতেই মিডিয়ায় তাদের ফুটেজ আসছে, তাহলে আর খাটবে কেন?

২২ শে জুলাই,২০২২ । শুক্রবার

শিক্ষাদপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে সক্কাল সক্কাল ইডি গোয়েন্দাদের হানা। আর শেষমেশ দুজনেই রাতে গ্রেপ্তার। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বাড়িতেও ঐ একই সময়ে ইডি হানা দিলেও বাড়িতে তিনি ছিলেন না। তিনি ছিলেন কলকাতায়। কিন্তু তাকে ইডি কিস্সু করেনি। এমনকি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (জানা যাচ্ছে একসময় মুখ্যমন্ত্রীর সহপাঠী ছিলেন) টেট কেলেঙ্কারিতে বারে বারে ডেকে পাঠালেও এবং তার বিরুদ্ধে গুচ্ছের প্রমাণ থাকলেও নাকি তিনি গ্রেপ্তার হচ্ছেন না। ফোকাস শুধু পার্থ আর অর্পিতা। অর্পিতার বিভিন্ন ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হতে থাকে থরে থরে সাজানো টাকা আর রাশি রাশি সোনার গয়না। সেইসঙ্গে উদ্ধার নামে ও বেনামে কেনা পার্থ-অর্পিতার বিপুল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হদিশ। রাজ্যজুড়ে শোরগোল! শাসকদলের বিরুদ্ধে এমন সীমাহীন দুর্নীতি রাজ্যবাসী এর আগে দেখেছিল চিটফান্ড কান্ডে।

২৫শে জুলাই, ২০২২ । সোমবার

বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ প্রদানের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা জুড়ে “আমি জানতাম না” থেকে শুরু করে “এটা কোন ট্র্যাপও হতে পারে” ইত্যাদি নানা অসংলগ্ন সাফাই দিলেন। এরমধ্যে “ট্র্যাপ” কথাটার মধ্যে একটা খটকা ছিল! মমতা সাধারণত চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র এই ধরণের শব্দ ব্যবহার করেন। কিন্তু “ট্র্যাপ”! শুনিনি! ট্র্যাপ মানে তো ফাঁদ! কে পাতলো সেই ফাঁদ? ঘরের কেউ? কারণ দলের মহাসচিবের এত বিপুল অবৈধ টাকাপয়সা বিষয় সম্পত্তির গুহ্য খবর তো দলের কারোর কাছেই থাকা স্বাভাবিক! আর সেটা ধরতে ইডি/সিবিআই এলে সেটাকে ষড়যন্ত্র বলা কি আদৌ কি যুক্তিযুক্ত!

২৬ শে জুলাই ,২০২২ । মঙ্গলবার

মধ্য কলকাতার সুকিয়া স্ট্রীটের এক ফ্ল্যাট মালিকের আমন্ত্রনে হঠাৎই রাতের ডিনার টেবিলে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আর বিজেপির কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের মধ্যে দেখা হয়ে গেল। সে নাকি দারুণ লুচি-ছোলার ডাল খাওয়া হল! ধোকার ডালনা আর পনিরও ছিল। ঐ চা-বিস্কুটের সৌজন্যর মত এটাও নাকি তাই । যদিও গোলমাল বুঝে রাজ্য বিজেপি জানিয়েছে কুণাল ঘোষ “গেট ক্র্যাশ” করেছে। ফ্ল্যাট মালিকের বক্তব্য জানা যায়নি।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ । বুধবার

এই দুর্নীতির প্রতিবাদে বামেদের তিনটে সুবিশাল মিছিল বৃষ্টির মধ্যেও কলকাতার রাস্তা কাঁপালো। সেইসঙ্গে জেলায় জেলায়ও শুরু হয়ে গেছে তাদের বিক্ষোভ-মিছিল-পথসভা-ঢ্যাঁড়া পেটানো ইত্যাদি নানা কর্মকান্ড। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জ্জী বর্তমানে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। কাজেই তার পদত্যাগের দাবীতে উত্তাল বাংলা। বামেরা বলতে শুরু করেছে মুখ্যমন্ত্রীকেও পদত্যাগ করতে হবে, কারণ তার অগোচরে তার নাকের ডগায় বসে পার্থবাবু এত্তবড় দুর্নীতি করেছেন আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাতে গলা মিলিয়েছে বিজেপি আর কংগ্রেস।

২৮ শে জুলাই, ২০২২ । বৃহস্পতিবার

রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপিও এবার গা-ঝাড়া দিয়ে উঠে একদিনের জন্য হলেও শিক্ষাদপ্তরের দুর্নীতি নিয়ে ধর্মতলা এবং টিভি চ্যানেলে দাপালো। দুপুরে খবর এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রীত্ব কেড়ে নিয়েছেন। আর সেদিনই সন্ধ্যেবেলা নতুন অঘোষিত নম্বর-টু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, প্রাক্তন নম্বর টু-কে শিক্ষাদপ্তরের দুর্নীতি নিয়ে চলা সিবিআই/ইডি তদন্তে নির্দোষ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত দল থেকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে।

“সিবিআই/ ইডি ধরতে এলে ভয় পাবেন না তো!” আর “নতুন তৃণমূল” যেন কোথায় মিলে যাচ্ছে!

আজ ২৯ শে জুলাই, ২০২২

শুক্রবার। ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। ফের শুরু হয়ে যায় তোলপাড়। কারণ পার্থবাবুও কোথায় জানি “ট্র্যাপ” বা ফাঁদে পড়বার কথা বলতে চাইলেন। তবে কি তিনি ইডির কাছে হাটে সেই ট্র্যাপের হাঁড়ি ভাঙতে চলেছেন! কারণ সবাই জানে এই বিপুল পরিমাণ টাকা-সোনাদানা বা বিষয়-সম্পত্তি পার্থ বা অর্পিতার ব্যক্তিগত নয়। কাজেই এর সাথে দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগাযোগ নেই বা সম্পর্ক নেই এটা জনমানসে প্রমাণ করা খুবই কঠিন। এরপর পার্থবাবু মুখ খুললে দলের অনেক রথী-মহারথী ফেঁসে যাবেন। বিরোধীদের বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস দলটা আগা-পাশ-তলা দুর্নীতিতে ভরা। সঠিক পথে তদন্ত হলে নাকি দলটাই উঠে যাবে।

তাহলে কি দল রাখতে ওপর মহল থেকে বিপথে তদন্ত চালিত করবার চেষ্টা হবে! আমরা রাইজ অফ ভয়েসেস জানি না। শুধু বিকেলের দিকে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর এল যে নীতি আয়োগের অনলাইন বৈঠকও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একসময় বয়কট করতেন, উল্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করবার প্রতিবাদে সরব হতেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের অফলাইন বৈঠকে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে দিল্লি যাচ্ছেন। ৫ অথবা ৬ই অগাস্ট, নাকি প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের সম্ভাবনা!

বাম কংগ্রেস আবার চিৎকার করবে সেটিং সেটিং। বিজেপি আর তৃণমূল বলবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে প্রশাসনিক বৈঠক খুব স্বাভাবিক।

এদিকে আপনারা তো ক্রোনোলজির চক্করে অলরেডি ট্র্যাপড! আশাকরি কয়লা কেলেঙ্কারিতে সিবিআই-এর দেওয়া প্রথম চার্জশিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেই, ভুলে গেছেন! এমনকি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাদের অধীনস্থ সিবিআই/ ইডিকে দিয়ে তাঁর ক্যাবিনেট মিনিস্টারকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার পরেও তিনি যে বিজেপি সমর্থিত উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট না দিতে বদ্ধপরিকর, বরং ভোটদানে বিরত থেকে বিজেপির জেতায় সুবিধে করে দিতে চাইছেনম, সেটাও কি আর তেমন করে মনে পড়ছে!

টালিগঞ্জকে হারিয়ে বেলঘরিয়া জিতে গেছে! কালীঘাট নামলে নাকি সবাই হেরে যাবে!

কিন্তু আপনি যদি জিততে চান, ক্রনোলজিটা বুঝুন! এটা জরুরি।

ধন্যবাদান্তে
রাইজ অফ ভয়েসেস

তথ্যসূত্র
a) https://indianexpress.com/article/cities/kolkata/mamata-meets-dhankhar-assam-cm-in-darjeeling-sayscourtesy-call-8027839/
b) https://www.business-standard.com/article/politics/nda-names-bengal-guv-jagdeep-dhankhar-as-its-vice-presidential-candidate-122071600805_1.html
c) https://www.hindustantimes.com/india-news/oppn-names-margaret-alva-as-vice-president-candidate-101658083458645.html
d) https://www.thehindu.com/news/cities/kolkata/cbi-files-charge-sheet-against-41-in-coal-pilferage-scam-in-west-bengal/article65659158.ece
e) https://www.thewall.in/news/tmc-leader-kunal-ghosh-meet-central-minister-dharmendra-pradhan/
f) https://bengali.news18.com/news/kolkata/mamata-banerjee-likely-to-meet-narendra-modi-in-delhi-dmg-858317.html