গাধা এবং সমকালীন সাংবাদিকতা / Habit is the Second Nature
গাধাগুলো জল খাচ্ছে! তবে যথারীতি ঘোলা করে।
আমাদের রাইজ অফ ভয়েসেসের অনেকের আবার মনে হয়ছে, এই ‘জল খাচ্ছে’ শব্দবন্ধটি সঠিক নয়। বরং ‘বাধ্য হয়ে জল খেতে হচ্ছে’ বলাটাই বেশী সমীচিন। প্রথমদিকে কেন্দ্রে ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন দুই শাসকদলের তরফে বলা হয়েছিল একটা অস্তিত্বহীন দলের খান ১০-১৫ জন ছেলেমেয়ে কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত শীতের আমেজ গায়ে মেখে পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে ‘পিকনিক’ করতে বেরিয়েছে। এদেরকে পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। বঙ্গ মিডিয়া এমন অমোঘ বার্তা’র বাইরে বেরিয়ে হাঁটে কি করে! কাজেই ৫০ দিন ধরে রাজ্যজুড়ে পথচলা ‘ইনসাফ যাত্রা’ নিয়ে মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যমকে বেশী কথা বা শব্দ খরচ করতে দেখা যায়নি। বরং এই ইনসাফ যাত্রাকে ঘিরে সুকৌশলে বামদলগুলোর অন্দরে উপদলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব উস্কে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
কিন্তু আদতে মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যমের উপেক্ষাটা বুমেরাং হয়ে গেছে। তথাকথিত ‘পিকনিক’ করতে বেরোন ছেলেমেয়েগুলোর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কাজের দাবীকে রাজনীতির মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনবার অদম্য জেদ ও চোয়ালচাপা লড়াইকে বাংলার প্রায় প্রতিটি জনপদে মানুষ ভিড় করে রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে কুর্নিশ জানিয়েছে। আর সেইসব ছবি ও ফুটেজ মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যম উপেক্ষা বা বয়কট করলেও সমাজমাধ্যমের পাতায়, মানে ফেসবুক-ট্যুইটারে-ইউটিউবে, আগুনের মত ছড়িয়ে পড়েছে। এর একটা বড় কারণ হলো বঙ্গ মিডিয়ার এই উপেক্ষাকে ‘মুখতোড়’ জবাব দিতে সমাজমাধ্যমে ইনসাফ যাত্রা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী বাম কর্মী-সমর্থক ও বামমনস্ক জনতার অতিসক্রিয়তা। ফলে খবরের কাগজে বা টিভির চ্যানেলে ইনসাফ যাত্রা নিয়ে খবর হলে, যতটা না হইচই-চর্চা হত, বাস্তবে হয়েছে তার কয়েকগুণ বেশী। আমাদের রাইজ অফ ভয়েসেসের প্রতিনিধিরাও কয়েকটি জেলাতে ইনসাফ যাত্রার সাথে পথ হেঁটে এসে সাধারণ মানুষের এই পদযাত্রাকে ঘিরে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখে স্পষ্টাস্পষ্টি জানিয়ে দেয় ইনসাফ যাত্রা নিয়ে প্রতিবেদন লিখতেই হবে। না লিখে উপায় নেই। আর তদের থেকে ফিডব্যাক পেয়েই ৫০ দিন ধরে চলা ইনসাফ যাত্রা নিয়ে আমরা রাইজ অফ ভয়েসেস ‘লিখবো না-লিখবো না’ করেও তিনখানা প্রতিবেদন লিখে ফেলেছি। সে সব লেখা পড়ে কেউ কেউ আমাদেরকে বলেছেন সিপিআই(এম)র দালাল। কেউ বলেছেন ‘মীনাক্ষীর’র পা-চাটা’। সেসব দেখে আমরা মুচকি হেসেছি। কারণ আমরা জানতাম দিন বদলাবে। এই লোকগুলোই যখন ৭ই জানুয়ারি, ২০২৪ এর ‘ইনসাফ’ ব্রিগেডের পর তাদের কেনা খবরের কাগজের পাতায় বা টিভি চ্যানেলে আমাদের লেখা কথাগুলোই দেখবে ও পড়বে, তখন ‘অটোমেটিক্যালি’ চুপ হয়ে যাবে।
কিন্তু আমরা যতটা ভেবেছিলাম আর বাস্তবে যা ঘটছে তা আমরা আশা করিনি। যেমন আজ ১৬ ই জানুয়ারি। ব্রিগেড সমাবেশের পর ৯ দিন হয়ে গেছে। অথচ এখনও ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রা শেষে গত ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বামেদের ব্রিগেডের চরিত্র ও কলেবর নিয়ে মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যমগুলিতে আলোচনা থামছে না। থামছে না ‘মীনাক্ষী-বন্দনা’ও। প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু লেখা হচ্ছে বা বলা হচ্ছে। কেন্দ্র বা রাজ্যের শাসক ঘনিষ্ঠ জনপ্রিয় ইউটিউবাররাও উপেক্ষা করতে পারছেন না, রোজই ইনসাফ যাত্রা ও মীনাক্ষীকে নিয়ে দু একটা ভিডিও আপলোড করে ফেলছেন। যদিও আমরা রাইজ অফ ভয়েসেস ৭ তারিখের ব্রিগেড সমাবেশের ওপর পরদিন একটা প্রতিবেদন লিখেই থেমে গেছি। যে সংবাদমাধ্যম মীনাক্ষীদের ইনসাফ যাত্রাকে দেখতেই পায়নি বা চায়নি, সেই তারাই আজ ‘মীনাক্ষীময়’। তাদের ছত্রে ছত্রে আজ বামেদের ইনসাফ দাবির বাঙময়তা। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন! ইনসাফ যাত্রা শেষ হওয়ার দিন কুড়ি পরেও। ব্রিগেড সমাবেশের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েও! এসব দেখে বিশিষ্ট সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায় ঠিকই বলেছেন! এটা ঠিক ঐ ‘জীবনে যারে তুমি দাওনি মালা, মরণে কেন তারে দিতে এলে ফুল’ এর মত লাগছে। অবশ্য উনি নিজেও ওনার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে মীনাক্ষীদের ইনসাফ যাত্রার গলায় ‘মালা’ দিয়েছিলেন বলে তেমন কোন প্রমাণ পাইনি। ফলে উনিও ‘কেন’ ফুল ছুঁড়তে এলেন প্রশ্নটা রয়েই গেল।
আর এই ‘কেন’র উত্তর খুঁজতেই আমাদের রাইজ অফ ভয়েসেসের আজকের প্রতিবেদন। আর সেটা লিখতে গিয়েই যেটা আমাদের নজর কাড়ল সেটা হলো, আমরা দেখলাম সব শেয়ালের এক ‘রা’! মানে ব্যাপারটা যথেষ্ট সংগঠিত। অর্থ্যাৎ এই লাইন লাগিয়ে ফুল দিতে আসার মধ্যেও রয়েছে রাজনৈতিক প্যাঁচপয়জার! হ্যাঁ আছে বৈকি! এদের ভাষ্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সেটা। এদের প্রত্যেকের ভাষ্যে গৌরচন্দ্রিকার মত প্রথমে পাবেন ইনসাফ যাত্রা ও ব্রিগেড সমাবেশের স্তুতি। ভাবখানা এমন যেন, রুটি-রুজি-শিক্ষা-স্বাস্থ্যর মত দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ইস্যুগুলোকে সামনে এনে এমনই একটা রাজ্যজোড়া পদযাত্রা এবং ব্রিগেড সমাবেশের জন্যই এরা অপেক্ষায় ছিল! যদিও এদের কেউই ইনসাফ যাত্রা কভারই করেনি। আর কলকাতার বুকে দশ লাখ মানুষের ব্রিগেড সমাবেশ কভার না করলে লোকে রাস্তায় টিটকিরি দেবে তাই বাধ্য হয়ে লাইভ দেখিয়েছে, পরদিন কাগজে কাগজে তার ছবি ছেপেছে। তা যাইহোক, গৌড়চন্দ্রিকাতে স্তুতি পর্ব শেষ করেই চলে গেছে মীনাক্ষী বন্দনাতে। তাতে খরচ করেছে একটা প্যারাগ্রাফ। আর তারপরেই এসেছে তাদের সেই কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসকের পছন্দের ন্যারেটিভটাতে যেটা তারা সবাই মিলে তুলে ধরে জনমানসে প্রতিষ্ঠিত করতে উদ্যত। আর এখানেই বোঝা যায় মীনাক্ষী মুখার্জ্জী হলেন এদের কাছে সেই ন্যারেটিভটাতে ঢোকবার ‘গেটওয়ে’। আর ওপরের স্তুতি-বন্দনা গুলো নেহাতই তাদের অপেশাদারি সাংবাদিকতার ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’।
ইনিয়ে বিনিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে তারা আসলে যা বলতে চাইছেন তার ন্যারেটিভ হলো মূলত দুটো। এক, মীনাক্ষী খুবই সম্ভাবনাময় কিন্তু বাচ্চা মেয়ে! যদি সিপিএমের পক্ককেশী নেতারা তাকে আদৌ এগোতে দেয় তাহলেও ‘মাইলস টু গো’। আর দুই, বামেদের ডাকে ৭ তারিখ ব্রিগেড উপচে গেলেও তার প্রভাব ভোটবাক্সে এখনই পড়বে না। কেন পড়বে না? কারণ অতীতে পড়েনি! অতীতে পড়েনি বলেই যে ভবিষ্যতেও পড়বে না, তার নিশ্চয়তা কোথা থেকে পেলেন? এই প্রশ্নের কোন উত্তর এদের কাছে নেই। মানে সোজা কথা ‘হয় তৃণমূল নয় বিজেপি’ বাইনারি’টা আপাতত থাকছে। অন্তত আসন্ন লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত!
আর সাংবাদিকতার নামে এসব ধ্যাষ্টামো দেখেই আমাদের রাইজ অফ ভয়েসেসের আজকের এই প্রতিবেদন। আসলে আমরা খেয়াল করে দেখলাম যে সমস্ত সাংবাদিক, ইউটিউবার বা সংবাদমাধ্যমকূল বামেদের উপচে পড়া লাখো জনতার ব্রিগেডের কোন প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে না বলে ঢাক পেটাচ্ছে, তাদের সিংহভাগ আবার মোদির ছবি টাঙিয়ে রাজ্য বিজেপির তত্ত্বাবধানে আয়োজিত ফাঁকা ব্রিগেডে গীতাপাঠের দৃশ্য দেখেও জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছে ৩৫ টার্গেট’টা কি একটু বেশী রকমের বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না? এমন কি বিজেপির সেই হাজার দশেক মানুষের ব্রিগেডকে এদেরই কেউ কেউ আবার ‘একলাখি’ ব্রিগেড বলে চালাবার চেষ্টাও করেছে।
আমাদের প্রশ্নটা খুব সোজা। ব্রিগেডে জনসমাগমের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শনের যদি ভোটবাক্সে কোন প্রভাব নাই থাকে, তাহলে শুধুশুধু একগাদা টাকা খরচা করে এতগুলো লোককে রাজনৈতিক দলগুলো ‘ফি-বছর’ ধর্মতলায় টেনে আনে কেন! পাড়ার মোড়ের পঞ্চাননতলায় বসে গীতাপাঠ করলেই বা বিজেপির কি অসুবিধে হচ্ছিল! কেনই বা মেরেকেটে হাজার দশেক লোকের ব্রিগেডে বসে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান কে ‘লক্ষকন্ঠে’ বলে চালাবার চেষ্টা! ৭ তারিখ বামেদের ব্রিগেড যদি এরকমই ফাঁকা হতো তখন কি এই সংবাদমাধ্যম ও স্বঘোষিত সাংবাদিককূল রাজ্যে বামফ্রন্টের ‘এপিটাফ’ লিখে ফেলতেন না বা মরণে ফুল দিতে লাইন লাগাতেন না।
কাজেই এসব নিরপেক্ষতার নামে হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধ হোক। আমরা রাইজ অফ ভয়েসেস যেমন বলছি না যে বামেদের ব্রিগেডের ভিড়ের প্রভাব তাদের ভোটবাক্সে পড়বেই আবার তেমনই এটাও বলছি না যে একদমই পড়বে না। আমরা চাই মানুষ ভাবুক। আমাদের কাজ হলো সেইসব সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাতে লোকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাদের হয়ে জনমত গঠন বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ সাংবাদিকতার পরিপন্থী।
বামেদের ব্রিগেড উপচে গিয়েছিল। বিজেপির গীতাপাঠের ব্রিগেড ছিল ফাঁকা। এটাই সত্য। সেই ফ্যাক্ট আমরা তুলে ধরেছি। মানুষ সত্যিটা জানুক এবং সিদ্ধান্ত নিক।
এবার আসা যাক, ‘মীনাক্ষী’কে বা মীনাক্ষীদেরকে সিপিআই(এম) রাজ্য নেতৃত্ব কতটা ফ্রি হ্যান্ড দেবে বা তাদের হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেবে কি না সেই প্রশ্নে! এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, ৭ তারিখ ব্রিগেড সমাবেশে সিপিআই(এম) র পক্ককেশীরা মঞ্চের নীচে বসে মীনাক্ষী-সৃজন-ধ্রুবদের পোডিয়াম ছেড়ে দিয়ে একপ্রকার স্পষ্ট বার্তা দিয়েই দিয়েছেন যে নেতৃত্বের ব্যাটন হস্তান্তর করতে তারা প্রস্তুত। খোদ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম সাংবাদিকদের কাছে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন মীনাক্ষীই ক্যাপ্টেন, সেই মুখ! এমনকি দলীয় সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কম বয়সইদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এরপর সিপিআই(এম) দলের পক্ককেশী নেতারা খামোখা মীনাক্ষীকে বা মীনাক্ষীদেরকে পেছন থেকে টেনে ধরবেন কেন!
আর সবশেষে মীনাক্ষী বাচ্চা মেয়ে, ‘মাইলস টু গো’ যারা বলে বেড়াচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে সবিনয় নিবেদন- দক্ষিণপন্থী দলের পরিণত পক্ককেশী নেতারা যখন ঝাড়ু-ন্যাতা-বালতি হাতে ফুটেজ খাওয়ার চেষ্টা করেন বা ঘাস খাওয়াতে খাওয়াতে গরুর পালের সাথে ছবি তুলে তা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ভোটদাতাদের আবেগ উসকে দেওয়ার অপরিণত ‘বালখিল্য’ রাজনীতি করেন তখন যে ছেলেমেয়ের দল শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কাজের দাবীকে সামনে রেখে রাস্তায় নামছে তাদেরকে কি আদৌ ‘বাচ্চা’ বা ‘অপরিণত’ বলে দেগে দেওয়া যায়! শিক্ষা-স্বাস্থ্য বা মানুষের রুটিরুজির মত ইস্যু গুলো যদি ‘মাইলস টু গো’ হয় তাহলে সে দায় দেশ ও রাজ্যের সংবাদমাধ্যমের। চতুর্থ স্তম্ভ হয়ে এ কোন দেশ বা রাজ্য আমরা গড়ে তুলেছি? মীনাক্ষীদের যোগ্যতা বা ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলবার আগে ‘মাইলস টু গো’ বুলি কপচানোর আগে সবজান্তা সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের উচিৎ নিজেদের আত্মসমালোচনা করা।
কাজেই মীনাক্ষীদের ইনসাফ লড়াইতে শেষ মুহুর্তে মুখ বাঁচাতে ফুল ছুঁড়তে এসেছেন ভালো কথা, কিন্তু ইনসাফ কামী জনতাকে ‘fool’ বা বোকা ভাববেন না। জনতা যা দেখবার বা বোঝবার ঠিকই দেখে নেয়, বুঝে নেয়। সংবাদমাধ্যম বা তার মাতব্বর সাংবাদিকরা কাগজের পাতায়, টিভি বা ইউটিউবের চ্যানেলে কি লিখলেন বা লিখলেন না, কি বললেন বা বললেন না , তাতে জনতা আর খুব একটা প্রভাবিত হচ্ছে না। ইনসাফ যাত্রার সাফল্য তার সবথেকে বড় প্রমাণ। সংবাদমাধ্যমের পক্ষপাতদুষ্ট অসাধু চক্রের খপ্পর থেকে জনতা ক্রমশ বেরিয়ে আসছে। যারা ভাবছেন জনতার ওপর সংবাদমাধ্যমের প্রভাব এখনও বহুদিন থাকবে তাদের সবিনয়ে জানাতে চাই তাঁরা ভুল ভাবছেন। সেদিন মোটেই সুদূর ভবিষ্যৎ বা মাইলস টু গো নয় যখন মানুষ সংবাদমাধ্যমে পরিবেশিত খবরও ‘ফিল্টার’ করতে শিখবে। কাজেই অতি চালাক সাংবাদিককূল কে সাবধান হতে হবে। নাহলে অচিরেই সাফ হয়ে যাবেন।
ধন্যবাদান্তে
রাইজ অফ ভয়েসেস
Sanjay Sengupta
Asaaaaaaaadhaaaaaaaraaaaaannnnnnnn .satya kotha.
Rwishavdev Goswami
খুব নিরপেক্ষ দৃষ্টি দিয়ে বিশ্লেষন করা হয়েছে। ধন্যবাদ।
Kushal Chatterjee
খুব সুন্দর বিশ্লেষণ
Manabesh
খুব ভালো যুক্তিপুর্ণ লেখা অভিনন্দন।
অনিরুদ্ধ বসু
একদম সঠিক প্রতিবেদন।
Shyamal Chatterjee
Totally agreed