সেকাল একাল / Maidan Vs. Victoria House
মেলালেন তিনি মেলালেন। সদ্য হ্যাট্রিক করা “আর্যভট্ট”দের দলের ব্রিগেডিয়ার আজ হয়ত খুব খুশি। কারণ অপ্রত্যাশিত ভাবে মহম্মদ সেলিমের ১৯৬ দিন আগের ব্রিগেডের বক্তব্য হুবহু মিলিয়ে গিয়েছে।
৭ই জানুয়ারি, ২০২৪। ব্রিগেডের মাঠ তখন কানায় কানায় পরিপূর্ণ। মঞ্চে উদীয়মান নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেইদিন নিজের বক্তব্যের শেষ দিকে কবি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার কয়েক লাইন বলতে গিয়ে ভুলে যান মীনাক্ষী৷ তারপরে কোনোরকম অছিলার পথে না হেঁটে লাখো মানুষের সামনে মীনাক্ষী তৎক্ষণাৎ স্বীকার করে নেন, তিনি কবিতার লাইন ভুলে গিয়েছেন৷
২১শে জুলাই, ২০২৪। কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে লক্ষ জনতার ভিড়। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, “নজরুল লিখেছিলেন, সারে জাহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তা হামারা।” রচয়িতা ইকবাল হয়ে গেলেন নজরুল! কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ভুল স্বীকার করলেন না। নিজের বক্তব্য চালিয়ে গেলেন।
সেদিন ৭ জানুয়ারীর ব্রিগেডে মীনাক্ষীর ঠিক পরেই বক্তব্য রাখতে উঠেছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বর্ষীয়ান রাজনীতিক মহম্মদ সেলিম৷ মিনাক্ষীর “ভুলে গেছি”র প্রসঙ্গ টেনে সেলিম বলেছিলেন,
“আমাদের মীনাক্ষী, নজরুলের কবিতা বলতে গিয়ে ভুলে গেল৷ উত্তেজনায় ভুল গিয়েছে, রণক্লান্ত তো৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারতেন এ ভাবে ভুল স্বীকার করতে? নরেন্দ্র মোদি পারতেন এভাবে জনসমক্ষে ভুল স্বীকার করতে? কোনও দক্ষিণপন্থী, স্বৈরতন্ত্রী ভুল স্বীকার করে না৷”
আজ উনি মেলালেন, মিলিয়ে দিলেন ব্রিগেডিয়ার সেলিম। কিন্তু মোরাল অফ দ্যা স্টোরি কি?
এই দুটি ঘটনা আমাদের শেখায় যে নেতৃত্বের গুণাবলী শুধুমাত্র ক্ষমতা প্রদর্শনে নয়, বরং দায়িত্ব ও সততার সাথে নিজের ভুল স্বীকার করার মধ্যেও নিহিত। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সাদাসিধে ভুল স্বীকার করার মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই কিভাবে একজন সৎ নেতা হতে পারেন। অপরদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল স্বীকার না করার মাধ্যমে আমরা দেখি এক ধরনের অহংকার ও অসাবধানতা।
নেতৃত্বের প্রকৃত গুণাবলী হচ্ছে স্বচ্ছতা ও ভুল স্বীকার করার সাহস। তাই, দলমত নির্বিশেষে আমাদের সমাজে এমন নেতৃত্বের প্রয়োজন, যারা নিজেদের ভুল স্বীকার করতে প্রস্তুত এবং জনগণের সামনে সত্যি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন।
ধন্যবাদান্তে
রাইজ অফ ভয়েসেস
Srabani Mukherjee
এই অহঙ্কারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বলেন কি না বিত্ত নয় বিবেকবান হতে, কতটা হাস্যকর ওনার কথা।
Mangal Hansda
Thanks