শান্তিকুঞ্জপতি / Marksheet

শান্তিকুঞ্জে রঙ্গ শুরু হয়েছে! পশ্চিমবঙ্গের চারটি বিধানসভা কেন্দ্র—রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা, এবং মানিকতলা—উপনির্বাচনে বিজেপির হারের কাহিনি এখন আলোচনার মূল বিষয়। তৃণমূল কংগ্রেস এই কেন্দ্রগুলিতে ভোটের ময়দানে ঝড় তুলে বিজেপিকে পরাজিত করেছে। বিজেপির হারে রাজ্য রাজনীতিতে হাসির রোল পড়েছে।
কেন হেরেছে বিজেপি? তারা কি ভুলে গেছে যে রাজনীতির মাঠে বাহুবলির সাথে কৌশলও লাগে? তৃণমূল কংগ্রেস তাদের বুদ্ধিমত্তার ঝলক দেখিয়ে একের পর এক পদক্ষেপে বিজেপিকে কুপোকাত করেছে। বিজেপির অভ্যন্তরীণ কলহ যেন এক রঙ্গমঞ্চের নাটক, যেখানে সবাই প্রধান অভিনেতা।
আর শুভেন্দু অধিকারীর কথা বলতে গেলে, তার যোগদানের পর থেকেই বিজেপির ভাগ্য যেন পিছলে যাচ্ছে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসে তিনি নতুন পথের সন্ধান দিয়েছেন বটে, কিন্তু পথের দিশা যেন হারিয়েই গেলেন। তার নেতৃত্বে বিজেপি যেন নিজেদের খুঁজে পাচ্ছে না। কর্মীদের মনের গভীরে সন্দেহের বীজ বপন করে তিনি বিজেপির কাণ্ডারি হতে পারেননি।
শুভেন্দুর যোগদান বিজেপিকে নতুন কিছু দিয়েছে, কিন্তু তা প্রয়োজনীয় শক্তি নয়, বরং আরও বিভাজন। তার নেতৃত্বে দল গোছাতে গিয়ে গোটা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিশালী ভিত্তি এবং রাজনীতির ময়দানে কার্যকর কৌশল বিজেপির পতনকে সহজ করে তুলেছে। যদি বিজেপি ভবিষ্যতে নিজেদের প্রাসঙ্গিক করতে চায়, তবে তাদের অভ্যন্তরীণ কলহ মেটানো এবং কার্যকর নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। নাহলে, রাজনীতির ময়দানে হাসির খোরাক হতে হবে তাদের। আর বামফ্রন্ট? এই মুহুর্তে একদা বঙ্গ শাসক বামফ্রন্ট লোকসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী ৫%-১০% জনতার প্রতিনিধি। তারা এই মুহূর্তে বঙ্গমানসে ধর্তব্যের মধ্যে নেই।
Snehangshu Ghosal
মাওবাদীরা “যুবরাজ” শিরোপা দিয়ে সিপিআইএম বিরোধিতার খোলা মাঠে বিরাট ইমেজ বিল্ডিং করে দিয়েছি শুভেন্দু অধিকারীর।
আদপেই আপাদমস্তক দূর্ণীতিগ্রস্ত।
মাওবাদীদের বর্তমান বক্তব্য জানার খুবই ইচ্ছা।