বঙ্গীয় সংবাদমাধ্যম এই মুহূর্তে / Bengal Media Cell

বঙ্গমিডিয়া এই মুহূর্তে মোনালিসা-অর্পিতার রসালো খবরে জনগণকে ডুবিয়ে রাখতে চাইছে। অর্পিতা-মোনালিসারা হয়তো বলির পাঠা হবেন। কারণ জনমত তৈরী হবে না এই রসালো খবরে।

সূত্রের খবরের নামে বেশ কিছু সরকার ঘনিষ্ঠ পেটোয়া সংবাদমাধ্যম এই মুহুর্তে তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি কি হবে তাই নিয়ে “স্মার্ট” প্রচারে ব্যস্ত। কারণ তারা যেভাবে বিগত ৪৮ ঘন্টা সরকার ও শাসক বিরোধী খবর প্রচার করে ফেলেছে বা বলা যায় বাধ্য হয়েছে দেখাতে, তার ড্যামেজ কন্ট্রোল জরুরি। কিন্তু, সংবাদমাধ্যম এই মুহূর্তে যে খবরগুলো চেপে যাচ্ছে তা কিন্তু উদ্বেগজনক।

পার্থ চ্যাটার্জীর বাড়ি ২৭ ঘন্টা শুধু জিজ্ঞাসাবাদ নয়, রীতিমতো তল্লাশি হয়েছে।

অপরাধীদের বিরুদ্ধে যেভাবে অপারেশন করা হয়, তদন্তকারী সংস্থা ঠিক তাই করেছে।

ইডির দাবি, পার্থর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে নিয়োগ সংক্রান্ত নানান নথি, যা প্রমাণ করে তিনি অপরাধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও তাঁর কোম্পানি সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল মন্ত্রীর বাড়িতে। সেইসব নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, গ্রুপ ডি নিয়োগ তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না, কিন্তু ইডি পাল্টা দাবি করে জানায় তাঁর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে ২০১৬ সালের এই পরীক্ষা সংক্রান্ত বহু নথি। অ্যাডমিট কার্ড থেকে শুরু করে চূড়ান্ত ফলাফলের খসড়া।

ইডির আরও দাবি শুধু গ্রুপ ডি নয়, উচ্চ প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থীদের একটি তালিকাও উদ্ধার করেছে তারা। এছাড়াও একাধিক চাকরি প্রার্থীর নামে অ্যাডমিট কার্ড, ফলাফল জমা ছিল পার্থর বাড়িতে।

এইসব নথির ভিত্তিতে ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরাসরি গ্রুপ ডি নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর পেছনে আর কারা যুক্ত ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।

একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে হবে। পার্থ চ্যাটার্জীর সাথে অর্পিতার যোগ স্পষ্ট। তৃণমূলের ওপর মহলে অর্পিতার নিত্য যাতায়াত যে ছিল তা সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়া বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপিংস থেকেই বোঝা গেছে। ফলে পার্থবাবু যে অর্পিতার মাধ্যমে চাকরি চুরির একটা বড় অঙ্কের টাকা ঘুরিয়েছেন বা তার কাছে গচ্ছিত করেছেন, সেটা তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় কারোরই সম্ভবত অজানা ছিল না। আর তাই সম্ভবত চা-বিস্কুট খেয়ে “গট-আপ” খেলে ১% টাকা অর্পিতার বাড়ি থেকে ইডির হাতে তুলে দিয়ে আর পার্থবাবুকে তাঁর ঘনিষ্ঠ-ঘনিষ্ঠা সহ আপাতত বলির পাঁঠা করে তৃণমূল নেতৃত্ব হয়ত ভাবছেন পার পাবেন এই দুর্নীতি থেকে।

কিন্তু, বাকি ৯৯% টাকার হদিস দক্ষিণ কলকাতার কোন রাস্তার কোন বাড়ি থেকে উদ্ধার হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। কাজেই সেটা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত চটকদার খবর দেখে বিভ্রান্ত হবেন না।

ধন্যবাদান্তে,
রাইজ অফ ভয়েসেস