বঙ্গীয় যুবসমাজের দুরবস্থা বর্নন / The Youth Of Bengal

এক কিম্ভূতকিমাকার পরিস্থিতির গহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত হইয়াছে বর্তমান বঙ্গীয় যুবসমাজ। কি হইতেছে, তাহা বঙ্গবাসী বুঝিতে পারিলেও, শাসকের উদ্দেশ্য প্রশ্ন করার সামর্থ তাহারা প্রায় হারাইয়া ফেলিয়াছে। তাহাতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত চাকুরীপ্রত্যাশীরা। সমাজ এবং সরকারের দ্বারা গঠিত শাঁখের করাতের ধারে তাহারা রক্তাক্ত।

ঘটনার সূত্রপাত আজ হইতে আট বৎসর পূর্বে, সংবাদমাধ্যমে উন্মোচিত হইয়াছিল “টেট কেলেঙ্কারি”, যাহাতে অযোগ্য এবং অনুগতদের শিক্ষকপদে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ উঠিল। তাহার পর ভাগীরথী দিয়া বহু জল গড়াইয়াছে। ইতিমধ্যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীসহ শিক্ষাদপ্তরের কর্তারা শ্রীঘরে। আপাতত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি, মানিক ভট্টাচার্য্য, দিল্লির সরকারী আবাস, বঙ্গভবনে বসিয়া সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের রক্ষাকবচ প্রার্থনা করিতেছেন এবং যোগ্য চাকুরীপ্রত্যাশীরা উন্মুক্ত গগনতলে প্রখর রৌদ্রে তাপিত হইতেছেন অথবা অঝোর বারিধারায় সিক্ত হইতেছেন। ইহা জানিয়া রাখা উত্তম যে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং চাকুরীপ্রত্যাশীরা এই মুহুর্তে, যাহা করিতেছেন, তাহাই চলিতেছে সম্পূর্ন গনতান্ত্রিক উপায়ে, আইনের দৃষ্টিতে দুইটিই বৈধ।

ইহা সুপ্রসিদ্ধ রহিয়াছে যে, বঙ্গদেশের উর্বরা সংস্কৃতিই অত্ৰত্য সমাজের প্রধান উপজীবিকা। আমরা উত্তর ভারতীয়দিগের ন্যায় মৃগয়া-মাত্রোপজীবী-যুদ্ধবীর নহি, পশ্চিম ভারতীয়দিগের ন্যায় শিল্পপ্রধানও নহি, দেশ-দেশান্তর গমনপূর্বক বাহুল্যরূপে বাণিজ্য নির্বাহ করাও আমাদের বৃত্তি নহে। তাই যুগ যুগান্তর ধরিয়া বঙ্গজাতি তাহাদের শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিকে উপজীব্য করিয়া এক সাংস্কৃতিবান সমাজ গঠনে আগুয়ান হইয়াছিল। অশেষ অত্যাচারে পীড়িত হইলেও, কেবল সংস্কৃতিই আমাদিগের মূলধন, এবং শিক্ষকরাই আমাদিগের প্রতিপালক, এই বলিয়া বঙ্গদেশের তথাকথিত শিক্ষিত সুশীল সমাজ, দুষ্কৃতকারী এবং সমাজবিনষ্টকারীদের হইতে মুখ ফিরাইয়া রাখিত। ভাগ্যের এমন পরিহাস, মুখ ফিরাইয়া রাখিতে রাখিতে বঙ্গীয় সমাজের শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং তাহাদের ভবিষ্যত বাহকেরা আজ গভীর আঁধারে প্রবল গতিতে নিমজ্জমান।

অক্ষয় কুমার দত্ত বা বঙ্কিমচন্দ্রের ভঙ্গিতে বঙ্গবাসীর দুরবস্থা বর্ণন এই মুহূর্তে এই বাংলায় বঙ্গবাসীর হৃদয়গ্রাহ্য হইবে না, তাই শব্দচয়ন পাল্টে আসতেই হচ্ছে নবারুন স্মরণে। সেই ভাষাতেই হবে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সাথে বঙ্গসমাজের পেছন ফাঁটার গপ্পো, নাহলে পাঠকদের প্যান্ট হলুদ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অতিমাত্রায় দেখা যাচ্ছে।

বাংলায় শিক্ষাব্যবস্থা একটা অদ্ভুত লয়ে অন্ধকারের পথযাত্রী। শিক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে, তা আদালতে প্রমাণিত। এরই মধ্যে রাজ্যের বর্তমান উইঙ্কেল-টুইঙ্কেলখ্যাত শিক্ষামন্ত্রী অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বৈধতা দিতে বদ্ধপরিকর।

এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত এগিয়েছে অনেকটাই। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছে সিবিআই। কতজন অযোগ্য চাকরি করছেন, আদালতের তরফে সেই তালিকা চাওয়া হয়েছিল তদন্তকারী সংস্থার কাছে। সেই তালিকাতে উঠে এসেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা ও দিল্লিতে একসাথে তল্লাশি চালায় সিবিআই। উদ্ধার হয় তিনটি হার্ড ডিস্ক। যাতে জানা যায়, নবম ও দশমের নিয়োগ মামলায় ৯০৭ জনের ওএমআর শিট জালিয়াতি করা হয়েছে। হার্ড ডিস্ক থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে যাঁরা শূন্য, এক বা দুই পেয়েছেন, এসএসসি-র খাতায় দেখা যাচ্ছে তাঁদের প্রাপ্তি ৫০, ৫২, ৫৩ ইত্যাদি। যারা সাদা খাতা জমা দিয়েছে এমন প্রার্থীদের নামের পাশেও বসেছে ৫০ এর থেকে বেশি নম্বর।

এছাড়া, গ্রুপ ডি নিয়োগে ২,৮২৩ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। এসএসসি’র সার্ভার থেকে জানা গিয়েছে, গ্রুপ সি-তে ৩,৪৮১ জনের নম্বর বদল হয়েছে।

এরপরেই বেআইনি চাকরিপ্রাপকদের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তাঁদের পদত্যাগ করার সুযোগ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য,

“টাকার বিনিময়ে চাকরি প্রাপকেরা নিজেরা খুব ভাল মতো জানেন সত্যিটা কি! আদালত তাঁদের অনুরোধ করছে চাকরি থেকে পদত্যাগ করুন। ৭ নভেম্বরের মধ্যে বেআইনি চাকরি প্রাপকদের পদত্যাগের একটা সুযোগ দিচ্ছে আদালত৷ বেআইনি চাকরি পেয়েও যদি পদত্যাগ না করেন ৭ নভেম্বর মধ্যে, তদন্তে যদি ধরা পরে জালিয়াত চাকরি, তাহলে কঠোর পদক্ষেপ করবে হাইকোর্ট।”

তাহলে মূল ব্যাপার কি দাঁড়াল, নবম-দশম, গ্রুপ সি আর ডি মিলিয়ে মোট ৭,২১১ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের আপাতত পাওয়া গেছে। অভিযোগ, পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেও প্রাথমিক ও হাইস্কুলের নবম-দশম-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষকতা করছে রাজ্যের প্রায় দশ হাজার শিক্ষক! যদি অঙ্কের হিসেবে ধরে নেওয়া হয়, এরা এক একজন মিনিমাম ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়ে থাকেন, তবে এখানেই মোট জালিয়াতির অর্থমূল্য ১০,০০,০০,০০,০০০ টাকা অথবা ১,০০০ কোটি টাকা।

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীসহ শাসক দলের অনেক নেতা গ্রেফতার হলেও, বিধানসভা ভোটের তৃণমূলত্যাগী কালনার বিজেপি বিধায়ক ‘টেটশ্রী’ বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর নাম কিন্তু এই মুহূর্তে কোথাও নেই। যিনি বছরখানেক আগেও বলেছিলেন,

“এটা ঠিক যে আমার স্ত্রী ও বউদি চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু আমি মোট ৬২ জনকে চাকরি দিয়েছি। তারা সবাই (তৃণমূল) দলের কর্মী। শুধু আমি নই স্বপন দেবনাথ, অনুব্রত মণ্ডল, তপন চট্টোপাধ্যায়রাও চাকরি দিয়েছেন। ২০১৪ সালের টেটে তৃণমূল কর্মী ও তাদের ঘনিষ্ঠরাই শুধু চাকরি পেয়েছেন। কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই করেছেন।”

যিনি এত কথা বলেছিলেন, এত তথ্য ওপেনলি বলেছিলেন, তাদের সাথে তোতাপাখি থেকে সংবাদমাধ্যম কেন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন, তা বঙ্গবাসী করেই জানেন। কিন্তু সেই ৭,২১১ জনের মধ্যে টেটশ্রী’র স্ত্রী ও বৌদি আছেন কিনা, তা সংবাদমাধ্যম এখনো জানাতে পারেনি। শাসকদলের নেতা ছাড়ুন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যিনি এত বড় অভিযোগ এনেছিলেন, তাকে সিবিআই, রাজ্য পুলিশ, আদালত, আইনজীবীরা ভুলে গেলেন কি ভাবে? কুনাল কেস!

এবার আসি বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর কথায়। এই শিক্ষামন্ত্রীই একসময় তার দলীয় সভায় উপস্থিত কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেছিলেন,

“তৃণমূলের ছেলেরাই চাকরি পাবে ৷ তবে কখন পাবে কীভাবে পাবে সেটা বলব না।”

যিনি এসব বলেছিলেন, তাকেও কোন তদন্তকারি সংস্থা এখনো ডাকেনি। তাই তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন,

“মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু বলেছেন, আমরা কারও চাকরি খেতে চাই না। অতীতে গোলমাল করেও যদি কেউ চাকরি পান, আমরা সেটা রাখতে চাই। যা নিয়ে বিতর্ক আছে, সমস্যা আছে, আমরা সেই চাকরিও রক্ষা করতে চাই। একই সঙ্গে যোগ্যরাও যাতে বঞ্চিত না হন, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।”

এভাবে কি দুনাম্বরী পথে পাওয়া চাকরির বৈধতা চাওয়া যায়! হয়ত যায়। ঠিকই আছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এদেরকেই চেয়েছিলেন, তাই এদেরকেই পেয়েছেন। নাহলে এত কনফিডেন্স আসে কোথা থেকে?

সমাজ তৈরির কারিগরদের তারা চাননি, তাই তারা আজ রাস্তায় বসে আছেন, আর বঙ্গবাসী প্যান্ডেলের হপিং করছেন। এখন মেধার আর দাম নেই, তাই ফি বছর মেধা পাড়ি দেয় ভিন রাজ্যে। যারা যোগ্য হয়েও ভিন রাজ্যে যেতে পারেন না, তাদের হয় ধর্মতলায় বসতে হয় অথবা চরমতম পথ বেছে নিতে হয়।

একেই রাজ্যে চাকরির আকাল, পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করে চাকরি পাওয়া দুষ্কর। এটা মোটামুটি প্রমাণিত। এমন এক পরিস্থিতি, রাস্তায় চাকরির দাবিতে বসে থাকলে, পুলিশ পেটাবে। সরকার শুনব শুনব বলেও মজা দেখবে। তারপরেও যারা চাকরি পাওয়ার আশায় নেতা ধরে সর্বস্ব বেঁচে চাকরি পেলে আদালত তাদের যথার্থভাবেই ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়াবে। মানে পরীক্ষায় যোগ্য হলে রাস্তায় বসে থাকতে হবে, আর অযোগ্য হয়ে সাথে টাকা দেওয়ার ক্ষমতা থাকলে (এখানে সবাই অযোগ্য, সেটাও নয়, এই লিস্টে পাঁচ দশ পিস যোগ্যও থাকতে পারে) কিছু সময়ের জন্যে চাকরি হলেও, তা নিশ্চিতভাবে চলে যাবে। আদালত সুযোগ দিলেও, এই যুবক-যুবতীদের কাছে কোনো “মানিব্যাক গ্যারান্টি নেই”। এরা বঞ্চিত হবে, সেখান থেকে বাঁচতে ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খোয়াবে, তারপরে রাস্তায় নামলে, পাবলিক বলবে, “বিক্ষোভ করে হবে কি?

কিন্তু এই যে এত বড় জুয়াচুরির মহীরূহ, সেটা যারা টুক টুক করে বেইমানির ইট গাথতে গাথতে তৈরি করেছে, তাদের কিছুই কি হবে না? নাকি তারা কি আজ এই নৌকায়, কাল সেই নৌকায় চেপে কলার উচিয়ে শুধুই বলে যাবে, “আমরা গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত”। আর যেটা বলবে না সেটা হল, “আমরা যা খুশি তাই করব।”

সবাই সব জানে, আদালতও জানে, তারপরেও মানিক ভট্টাচার্য্যের মত লোক সরকারি ভবনে বসে আইনের সাহায্যে নিজের জেলযাত্রা আটকাতে পারেন, আর যুবসমাজ হারিয়ে যেতে থাকে অন্ধকারের অতলে। এসব জেনেও আমরা পুজোর দিনে সন্ধ্যেবেলায় খবরের চ্যানেলে শোভন-বৈশাখী-মদনের সিরিয়াল দেখব আর রাত্রিবেলায় সবান্ধবে ফাঁকা ঘরে লাইট ফ্যান জ্বালিয়ে হৈ হৈ করে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়ব। ভাবনাতেই আসবে না সেই লোকটার কথা, যে পেটের তাগিদে কয়লা খনিতে নেমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কয়লা তুলে নিয়ে আসে। আমরা জানবো তাদের কথা যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে কয়লা দুর্নীতির সাথে যুক্ত। হয় তাদের দোষ ঢাকতে বা খুলতে আমরা পক্ষ নেবো, সেই শ্রমিকের পক্ষে আমরা থাকব না। আমরা ভাবব না সেই লোকটার কথা, যিনি ৫০ শতক জমিতে ১৫০ দিন শ্রম দিয়ে পাট চাষ করে ৩,১৪০ টাকা ঘরে তোলে। কিন্তু পাট চাষিদের নিয়ে কোন সাংসদের ভালবাসা উথলে উঠলে, আমরা পাট চাষিদের নিয়ে ভাবি না, ভাবি সাংসদ কোন দলে ঝাঁপ দেবে। এভাবেই আমরা পাল্টে গেছি, এভাবেই আমাদের রোজ রোজ পাল্টানো চলছে। তাই আমরা আজ একে অপরের সাথে সহযোগিতা করার বদলে, একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতার পথে এসে দাঁড়িয়ে, নিজেদের বানিয়ে নিয়েছি একা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা, যে পথ চলা বাঙালিকে সমৃদ্ধ করেছিল, এনেছিল রেনেসাঁ, সেটাই আজ জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গেছে।

যে রাজ্য এক সময় সংস্কৃতির পিঠস্থান ছিল, সেই রাজ্যই আজ বেনিয়মের রাজধানী। গাধা গাছের মগডালে ওঠার পর ব্যা ব্যা করে চিৎকার করলে সবাই প্রশ্ন তোলেন, গাধাটা কেন মগডালে? কিন্তু গাধা কিভাবে, কাদের কাঁধে ভর দিয়ে মগডালে উঠল, সেই প্রশ্ন অনেকেই এড়িয়ে যান, পাছে যদি নিজের নাম চলে আসে।

তাহলে? ব্যা ব্যা ডাক কি তবে শুনতেই হবে! তা আমরা বলতে পারব না। হয়ত মানুষই একদিন ঠিক করে নেবে যে, তারা ডালপালা সমেত গাছটাই মূল থেকে উপড়ে ফেলবে নাকি অন্য কিছু করবে। কারণ ইতিহাসটা মানুষরা মিলেই লেখে।

ধন্যবাদান্তে,
সুজয় ঘটক

পুনশ্চ: নাহ্, নবারুন হতে পারলাম না। রোদ্দুর রায়কে দেখেছি তো, কারণ স্বাধীনতার মত ভয় পাওয়াটাও বঙ্গবাসীর অলিখিত জন্মগত অধিকার।