ছুটির ফাঁদে: সার্বজনীন অবৈতনিক শিক্ষার অন্তর্জলীযাত্রা / The Holiday Trap

খেলাটা পুরানো,
কিছুটা ছোঁয়াছুঁয়ি,
ছুটে যেতে যেতে যেতে যেতে পড়ে যাবে ধরা…

হ্যাঁ। এটাই হওয়ার ছিল। ভবিতব্যকে এড়ানো যায় না।

বাম আমলে রাজ্যব্যাপী যে ক্লাস ১ থেকে ক্লাস ১২ পর্যন্ত অবৈতনিক সরকারী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন হয়েছিল, যার ফসল আজকের এই শহর ছাড়িয়ে শহরতলী- গাঁ-গঞ্জে গড়ে ওঠা বৃহৎ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজ, সেই আস্ত শিক্ষাব্যবস্থাটাকে যে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেটা আজ দিনের আলোর মত পরিষ্কার! উদ্দেশ্য একটাই, যাতে বেসরকারী সিবিএসই/আইসিএসসি পরিচালিত ইংরাজি মাধ্যম স্কুল শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটা স্থায়ী পাকাপাকি বাজার তৈরি হয়।

এর আগেও রাইজ অফ ভয়েসেসের বিভিন্ন প্রতিবেদনে এব্যাপারে সাবধান করে দেওয়া হচ্ছিল। কিছুদিন আগেই রাজ্যের “নাট্যকার” শিক্ষামন্ত্রী যেভাবে বুক বাজিয়ে সরকারী শিক্ষা ব্যবস্থাকে একরকম ব্রাত্য করে গত এক দশকে রাজ্যজুড়ে বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থার সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেছিলেন তাতেই আমরা প্রমাদ গুনেছিলাম।
তারও আগে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছিলাম রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং বর্তমান মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতির বেসরকারী অ্যাপ-নির্ভর প্রাইভেট টিউশন সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বনে যাওয়ার খবর। এনাদের সঙ্গে ছিলেন শাসকদলের টিকিটে নির্বাচিত সিনেমার তারকা-বিধায়ক, শাসক ঘনিষ্ঠ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং শাসক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। মানে খুব পরিষ্কার ভাবে সরকার কাম শাসকদলের পক্ষ থেকে বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থার স্বপক্ষে লাগাতার বার্তা দেওয়া চলছিলই! সম্প্রতি আমরা জানতে পারলাম সেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বেনামে প্রাইভেট স্কুল পর্যন্ত খুলে ফেলেছেন।

অথচ আমরা খেলা-মেলা প্রিয় ফুর্তিবাজ বাঙালী যথারীতি সেসবের তোয়াক্কা না করে দী-পু-দা ঘুরেছি আর ইষ্টিকুটুম-জলনূপুর-মিঠাই দেখে আবেগতাড়িত হয়ে চোখের জল ফেলবার ফাঁকে ফাঁকে চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খবরের চ্যানেল গুলোতে চলা কলতলার ঝগড়া (যার পোশাকি নাম “বিতর্ক”) দেখতে দেখতে নিজেদেরকে সবজান্তা ভেবেছি।

কিন্তু ঐ যে শুরুতে বললাম, এভাবে বাস্তব থেকে ছুটে পালানো যায় না। ধরা পড়তেই হয়। আর তাই এখন লক্ষ লক্ষ টাকা বাৎসরিক ফি দিয়ে আমরা মা- বাবারা বিভিন্ন বেসরকারী স্কুলে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়বার ব্যবস্থা করতে বাধ্য হচ্ছি। এমনকি এর জন্য অগ্রিম মুচলেকা লিখে দিতেও দুবার ভাবছি না

কিন্তু কেন!

আসলে পরিবর্তনের সরকারের জমানায় বিগত কয়েকবছরে শিক্ষক নিয়োগে যে সীমাহীন দুর্নীতি এবং টাকা খাওয়াখাওয়ি চলেছে তা নিয়ে এখন আর বিতর্কের কোন অবকাশ নেই। ইদানীং মহামান্য আদালতের নজরদারিতে চলা তদন্তে সিবিআই/ইডির হুড়কো খেয়ে শাসকদলের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া নেতা-মন্ত্রীরা নিজাম প্যালেস আর আদালতের অলিন্দে ছোটাছুটি করতে ব্যস্ত। এ ব্যাপারে বিধানসভার সাংবাদিক সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই স্বয়ং নাট্যকার শিক্ষামন্ত্রী চেয়ার ছেড়ে উঠে পেছনের দরজা দিয়ে পালালেন, এমন লজ্জাজনক দৃশ্যও সামনে এসেছে। এক দশক আগের কোনো শিক্ষামন্ত্রী আমলে এসব হলে, “বিব্রত ব্রাত্য পালিয়ে বাঁচলেন” গোছের হেডলাইন সহযোগে মুচমুচে খবর সমেত খবরের কাগজ আপনার চায়ের টেবিলে সক্কাল সক্কাল মজুত থাকত। এখন থাকছে না কারণ পরিবর্তন চাই হল পজিটিভ খবর পড়ে বাঁচার যুগ। এভিলের মধ্যেও যে গ্রেটার এবং লেসার দুটো ভাগ হতে পারে এমনটা জানবার যুগ। কিন্তু এসবের মাঝেও এই বাস্তবকে আমরা অভিভাবকরা অস্বীকার করতে পারছি না যে একদল অযোগ্য লোকজন পয়সা খাইয়ে শিক্ষক সেজে রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুলগুলোতে ঢুকে ছেলেমেয়েদের পড়াতে শুরু করেছে। ফলে স্বভাবতই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগছে সরকারী স্কুলে শিক্ষার গুণমান নিয়ে। তার ওপর সম্প্রতি বিধানসভার মধ্যেই প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুল-কলেজ গুলোতে তিন লক্ষেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর পদ খালি পড়ে রয়েছে। মানে শুধু গুণমান নয়, সরকারী স্কুল শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামোটাও যে চাহিদার তুলনায় এই মুহুর্তে ভীষণ রকম অপ্রতুল এবং ভঙ্গুর সেটাও শিক্ষামন্ত্রীর বয়ানে স্পষ্ট। কাজেই সন্তানকে “কোয়ালিটি এডুকেশান” দিতে আমরা স্বচ্ছল বাপ-মায়েরা অগত্যা দারস্থ হচ্ছি বেসরকারী স্কুলের।

কিন্তু সব বাবা-মার পক্ষে কি আর ছেলেমেয়েকে বাৎসরিক লক্ষ লক্ষ টাকা ফি দিয়ে বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ানো সম্ভব! কাজেই মধ্যবিত্ত/নিম্ন মধ্যবিত্ত বা প্রান্তিক দ্ররিদ্র পরিবারের ভরসা সেই সরকারী স্কুল। এমনকি মিড-ডে মিল দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের স্কুল শিক্ষার আওতায় আনবার মত গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দায়বদ্ধতাও থাকে সরকারী স্কুল গুলোর। ফলে এক্কেবারে বন্ধ করে দেওয়াও যাচ্ছে না। যদিও শহরাঞ্চল এবং শহরতলীর কিছু সরকারী স্কুল ছাত্রের অভাবে পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করা গেছে কারণ এসব অঞ্চলের বাবা-মায়েদের আর্থিক অবস্থা তুলনায় ভাল হওয়ায় তারা বেসরকারী স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করতে পেরেছেন।

কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে ব্যবসায় বাজার ধরা একটা নিরবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বেসরকারী স্কুল শিক্ষাব্যবস্থাও একটি পরিষেবামূলক ব্যবসামাত্র। তাই যেখানে যেটুকু সরকারী শিক্ষাব্যবস্থা অবশিষ্ট আছে সেটুকুকেও কিভাবে লাটে তুলে দেওয়া যায় তারও একটা অদ্ভুত পন্থা বার করা হয়েছে। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন সেই মহামারী যবে থেকে শুরু হয়েছে তবে থেকে লকডাউন ঘোষণা করে নানা রকম বিধিনিষেধ এবং সামাজিক দূরত্বের বিধান দিয়ে সমস্ত সরকারের তরফে বলা হয়েছে খুব দরকার ছাড়া রাস্তায় বেরোবেন না। অযথা রাস্তাঘাটে ভিড় করবেন না।

কিন্তু এরপর যেটা হয়েছিল তা হল স্কুল কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি, মানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাদ দিয়ে বাকি সব কিছুই মহামারীর মধ্যে মোটামুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। সরকারী বা বেসরকারী অফিস থেকে শুরু করে বাজার, দোকান, মল-মাল্টিপ্লেক্স, হোটেল, রেস্তোরাঁ, মদের দোকান, সেলুন সবই খোলা হয়েছে একে একে। হয়েছে সিনেমা-সিরিয়ালের শুটিং। রেস্তোঁরা জিম বা সুইমিং পুলের মত অত্যবশ্যক নয় এমন পরিষেবাও চালু হয়েছে। ভোট হয়েছে, ভোটের মিটিং-মিছিল করে প্রচার হয়েছে। খেলা-মেলা হয়েছে। হয়েছে ধর্মীয় উৎসবও। বড়দিন বা নিউ ইয়ার উপলক্ষে কাতারে কাতারে লোকজনের পার্কস্ট্রীট বেড়ানো অথবা চিড়িয়াখানা বা ইকোপার্কে ঢুঁ মারাও হয়েছে। কিন্তু সরকারী স্কুল-কলেজ খোলা হয় নি। মানে একদিকে খুব দরকার ছাড়া রাস্তায় বেরোবেন না সতর্কবার্তা ছড়িয়ে এবং অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বন্ধ করে বাকি সব কিছু চালু করে দিয়ে সরকারের তরফে একপ্রকার আমাদের বাবা-মায়েদের মগজ ধোলাই করা হয়েছে যে লেখাপড়াটা এমন কিছু দরকারি নয় যার জন্যে রাস্তায় বেরোতে হবে, স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি যেতে হবে! বরং বাড়িতে বসে অন লাইনে পড়াশোনা হোক। এতে বাচ্চাদের করোনা হবে না। আর আমরা যে বাবা-মায়েরা মহামারীর মধ্যেই বাচ্চাকে নিয়ে মল-মাল্টিপ্লেক্সে ঘুরে বেড়িয়েছি, ফুচকা খেয়েছি, ঠাকুর দেখেছি, চিড়িয়াখানা গেছি অথবা তেমন সুযোগ পেলে কাছে বা দূরে বেড়িয়েও এসেছি তারাও সরকারের এমন সতর্কবানী মেনে নিয়ে বাচ্চাদের স্কুল-কলেজে পাঠাতে ইতস্ততঃ করেছি।
আর এখানেই হয়ে গেছে গণ্ডগোলটা। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা অপেক্ষাকৃত উন্নত আর্থ-সামাজিকস্তর থেকে উঠে আসায় তারা এই অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থায় ঘরে বসে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারলেও সরকারী স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের একটা বড় অংশ এতে অংশ নিতে পারে নি। কারণ তাদের সবার স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ নেই, নেই ইন্টারনেট সংযোগ। কারোর থাকলেও রয়েছে সিগন্যাল সমস্যা। পাশাপাশি সরকার পরিচালিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোর তরফেও পরিকাঠামোর অভাবে সমস্ত পাঠ্য বিষয়ের সেভাবে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করানো হয়েছে বলেও আমাদের কাছে কোন খবর নেই। মানে ডিজিটাল ডিভাইড শুধু বড়লোক আর গরীব নয়, সরকারী এবং বেসরকারী পরিষেবার মধ্যেকার ফারাকটাকেও প্রকট করে তুলেছে। অথচ এসব সমস্যার কথার কোনটাই সরকার বাহাদুরের অজানা নয়। মানে সোজা কথায় মহামারীর দিনগুলোতে সব জেনেশুনে বুঝেও সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা রীতিমত পরিকল্পনামাফিক স্কুল-কলেজগুলোকে বন্ধ রেখে সরকারী শিক্ষাব্যবস্থার অপ্রতুল পরিকাঠামোকে সামনে এনে জনমানসে বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থার সামনে তাকে হেয়ো করলেন। অথচ নিজেরা বেসরকারী শিক্ষাব্যবসার সাথে ব্যবসায়িক ভাবে যুক্ত হয়ে টাকা কামালেন!

কিন্তু এখানেই শেষ হল না! ঐ যে বললাম, বাজার ধরা হল একটি ধারাবাহিক নিরবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। মহামারী শেষ হলে তো স্কুল খুলতে হবে! তখন! কাজেই ফন্দি ফিকির খোঁজা শুরু হল সরকারী স্কুলগুলোকে ফের বন্ধ করবার। কারণ সেটা করলেই আবার বেসরকারী ও সরকারী পরিষেবার তফাৎটা সামনে আসবে।

আর তাই এবার সহায় হল গরম। আমরা জানলাম সারা রাজ্যে নাকি এবছর ভীষণ গরম পড়েছে। তাই সরকারী এবং সরকার পোষিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে সার্কুলার জারি করে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছিল। যদিও আমাদের কাছে খবর বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর অনেকগুলোতেই তেমনটা হয় নি বা আবার কেউ কেউ সরকারী ফরমান মানলেও ছুটির মধ্যেই তাদের নিয়মিত অনলাইন ক্লাস চলেছে। আবার এমন খবরও কানে এল যেখানে গরমের ছুটি এগিয়ে আনবার মানবিক সরকারী ফরমান আসবার আগেই অত্যধিক গরমের জন্য কয়েকটি বেসরকারি স্কুল গরমের ছুটি ঘোষনা করে অনলাইন ক্লাস চালু করে দিয়েছিল।
এরইমধ্যে গতকাল আমরা আবার জানতে পারলাম এবছর রাজ্যে বর্ষা আসতে দেরী হচ্ছে। ফলে প্যাচপ্যাচে গরমটা কিছুতেই যাচ্ছে না। কাজেই ফের মানবিকতার খাতিরে সরকারের তরফে সরকারী এবং সরকার পোষিত সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি আরও ১১ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হল। যদিও সিবিএসই এবং আইসিএসসি বোর্ডের কাছে বা বেসরকারী স্কুলগুলোর কাছে এব্যাপারে কোন স্পষ্ট নির্দেশ বার্তা নেই। মানে তারা স্কুলের গরমের ছুটি নাও বাড়াতে পারে। আর যদি বা বাড়ায় তাহলে তাদের যে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস শুরু হয়ে যাবে সেটা বলাই বাহুল্য। যদিও রাজ্য সরকারের পরিচালিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের তেমন সক্রিয় এবং নিয়মিত অনলাইন শিক্ষাদানের সুযোগ খুবই সীমিত বা প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। একটি বেসরকারী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী যে পরিমাণ ক্লাস করতে পারছে একটা সরকারী বা সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সেটা পারছে না। ফলে স্বভাবিকভাবেই তারা পিছিয়ে পড়বে।

কাজেই ফের অ্যাডভান্টেজ বেসরকারী শিক্ষা।

মানে কৌশলে আমার আপনার মাথায় রীতিমত হাতুড়ি মেরে মেরে বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থার ইতিবাচক দিকগুলো ঢুকিয়ে দিতে চাইছে সরকার স্বয়ং নিজে।

আর এমনটা চলতেই থাকবে বা অন্তত তেমন সুযোগ রয়েছে। এরপর বর্ষা আসবে। তারপর শীত! তখন আবার এই ধরণের এক্সট্রিম ওয়েদার কন্ডিশনের জন্য, মানে অতিবৃষ্টি/বন্যা অথবা শৈত্য প্রবাহের কারণে ফের যে কোন মানবিক সার্কুলার জারি হবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই! কিন্তু এমন মমতাময় মানবিকতার অজুহাতে দানবীয় বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থাকে শিকড় গেড়ে বসবার জন্য সরকারের তরফে সুচতুরভাবে টাকা খেয়ে বাজার বা পরিসর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে কি না, এদিকটা আমরা ভেবে দেখেছি কি!

ধন্যবাদান্তে
রাইজ অফ ভয়েসেস

তথ্যসূত্র
a) https://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/west-bengal-govt-tells-schools-to-bring-summer-vacation-forward/articleshow/91137406.cms
b) https://epaper.anandabazar.com/imageview_63894_2383772_4_71_14-06-2022_0_i_1_sf.html
c) https://epaper.anandabazar.com/imageview_63903_24450889_4_71_14-06-2022_5_i_1_sf.html