কলকাতার পুরভোটের কিছু ব্যতিক্রমী কুশীলব / Red Volunteers and KMC Election

এরা কেউ কোন নেতা-মন্ত্রীর ছেলে মেয়ে বা বৌ নয়, নয় কোন কেষ্টবিষ্টুর ভাইপো, কিম্বা ভাইয়ের বউ। এরা তোয়ালে মুড়ে ঘুষ খায়নি বা কাটমানি চায়নি। এরা পাড়ায় পুকুর বুজিয়ে প্রমোটারি করেনি। চলায়ানি ইমারতি চুন সুড়কির সিণ্ডিকেট।এমনকি গুন্ডা-গর্দি, গাজোয়ারি, তোলাবাজিও এদের নাপসন্দ। অথচ এরাই এই মুহুর্তে বাংলার সব থেকে বড় ডাকসাইটে ডানপিটে ছেলেমেয়েদের গ্যাং। পোশাকি নাম রেড ভলেন্টিয়ার্স!

মহামারীর সময় যখন সবাই “আপনি বাঁচলে বাপের নাম” জপতে জপতে দরজায় খিল তুলে বাড়িতে; পাছে ভাইরাস ধরে। কারোর সাহস হচ্ছিল না আক্রান্ত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াবার। ঠিক তখন সামাজিক ভাবে বয়কট হয়ে যাওয়া মহামারী আক্রান্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াবে বলে এরা দরজা খুলে রাস্তায় নেমেছিল।

ডাক্তার ডাকা, অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করা, হাসপাতালে ভর্তি করা থেকে শুরু করে, বাড়ি বয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে দেওয়া, বাড়ি স্যানিটাইজ করা, এমনকি দুবেলা রান্না করা খাবার পৌছে দেওয়া অসুস্থ বাড়িগুলিতে, যারা সেই সময় পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে একরকম অস্পৃশ্য ছিল। এরা কিন্তু এখানেই থেমে যায় নি। লকডাউনে কাজ হারানো “দিন আনি দিন খাই” মানুষদের কথা ভেবে পাড়ায় চালিয়েছে শ্রমজীবী ক্যান্টিন, শ্রমজীবী বাজার। আয়োজন করেছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রক্তদান শিবিরের। শুধু আপনার এই কলকাতা শহরে নয়, সারারাজ্য জুড়ে কয়েকলক্ষ রেড ভলেন্টিয়ার্স রাস্তায় নামে মহামারী দিনগুলোতে!

এখনও তারা রাস্তাতেই আছে। মহামারী যে এখনও পুরোপুরি যায় নি। কিন্তু যে রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকে তাদের এই সামাজিক দায়বদ্ধতার শুরু সেই রাজনীতি থেকে তারা তো পিছু হঠতে পারে না। তাই তাদেরই কিছু মুখ এই মুহুর্তে আসন্ন কলকাতা পুরভোটে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী। হয়ত ভোট চাইতে অলরেডি এসেছে বা আসবে আপনাদের দরজায়।

রাইস অফ ভয়েসেস এর তরফে সেই দস্যি ছেলে মেয়ে গুলোর একঝলক!