বঞ্চনা কার? / Kerosene Price Hike

জ্বালানির লাগাতার দামবৃদ্ধি নিয়ে ফুঁসছে দেশ, ভয়ঙ্কর জ্বালায় জ্বলছে সাধারণ মানুষ। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আগেই ১০০ পেরিয়েছিল, চড়েছিল কেরোসিনের দামও।

উদাহরণস্বরূপ, গত মার্চ-এপ্রিল মাসে লিটারে ২২ টাকা বেড়েছিল কেরোসিনের দাম! সেদিন কেরোসিনের দাম ৮০ টাকা হয়েছিল বলে, “এর জন্য দায়ী কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি” – এই অভিযোগ তুলে খাদ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন রাজ্য কেরোসিন ডিলার্স অ্যাসোয়িসেশনের সদস্যরা। এইটুকু ইতিহাস। এবার আসি বর্তমানে।

আজ কলকাতায় এক লিটার কেরোসিনের দাম ১০১.৭৬ টাকা, এটা যদি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা হয়, তবে আজ চেন্নাইতে ১৫ টাকা লিটারে কেরোসিন পাওয়া যাচ্ছে কিভাবে? পশ্চিমবঙ্গের মত তামিলনাড়ুতেও বিরোধী দলের সরকার চলে, তাদের কি কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করে না?

দিল্লিকেরোসিন বিক্রি হয় না
মুম্বই৯৭.৫৬ টাকা
কলকাতা ১০১.৭৬ টাকা
চেন্নাই১৫.০০ টাকা
ভর্তুকিযুক্ত কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার (জুলাই ১, ২০২২ থেকে কার্যকর)

সদ্য রাজনীতির পাশা পাল্টানো মুম্বইয়ে আজ কেরোসিন ঠিক কলকাতার থেকে লিটারে ৪.২০ টাকা কম দামে পাওয়া গেলেও, কলকাতার থেকে চেন্নাইতে ভর্তুকিযুক্ত কেরোসিন তেলের দাম লিটারে ৮৬.৭৬ টাকা কম। এবার কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, লিস্টে দিল্লির নাম নেই কেন? নেই কারণ, এই মুহূর্তে দিল্লী কেরোসিন ফ্রি সিটি, ওখানে অফিসিয়ালি কেরোসিন বিক্রি হয় না।

প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল, গত ৬ মাসে পশ্চিমবঙ্গে কেরোসিনের দাম বেড়েছে প্রায় ৫৩ টাকা। ২০২২-এর জানুয়ারি মাসে কলকাতায় এক লিটার কেরোসিনের দাম ছিল, ৪৮.৫৫ টাকা, জুলাইয়ের ১ তারিখ সেটাই দাঁড়িয়েছে ১০১.৭৬ টাকায়। কোচবিহারে সেটা আবার পৌঁছেছে ১০৪ টাকায়।

বঞ্চনা যে একপক্ষই করবে, তা সবসময় ঠিক নাও হতে পারে। কখনো কখনো দুই পক্ষই হাত ধরাধরি করে বঞ্চনা করতে পারে, তবে বঞ্চিত হয় সর্বদা একটা পক্ষ। সেই বঞ্চিতরা হলেন সাধারণ ভাবে গরিব-মধ্যবিত্ত মানুষেরা, যাদের কথা প্রতিদিন উঠে আসে আমাদের কলমে।

ধন্যবাদান্তে
রাইজ অফ ভয়েসেস

তথ্যসূত্র:
https://iocl.com/kerosene