সেঙ্গোল গাথা / Decoding Sengol

গনতন্ত্রের অবসান, আর রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হচ্ছে কি আমাদের দেশে! একটা পরাধীন দেশ হিসেবে বৃটিশদের কাছ থেকে আপোষে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হওয়া আধা-উপনিবেশিক দেশ কি আমাদের ভারত? পাড়ায় পাড়ায় এই প্রশ্ন উঠে গেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাম্প্রতিক ভাষণের পর। এমনও কথা উঠেছে যেখানে কেউ কেউ বলছেন, রাজকীয় বৃটিশ পার্লামেন্টের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের নামে ভারত এই মুহূর্তে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের দ্বারা আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা একটা আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসিত দেশ মাত্র।

দেশের নাগরিকরা যখন এই সত্যিকথাগুলো বলে তখন অনেকেই এই কথাগুলোকে হাস্য কৌতুকের বিষয় হিসেবে মনে করেন।

যদিও সংসদের স্পিকার এবং রাষ্ট্রপতির সম্মানে উপনিবেশিক রয়্যাল আর্মি, ভারতীয় নৌবহরের পতাকায় ইউনিয়ন জ‍্যাকের রেড ক্রশ ছাপ, সংসদে দুজন অ‍্যাংলো সদস্যের সংরক্ষণ, ক্যাবিনেট মিটিংয়ে “ইওর হাইনেস”-এর প্রতি আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে আজও একটা খালি চেয়ার রাখার প্রথা প্রমাণ করে, উপনিবেশিক আনুগত্যের প্রতি ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্রের সাধারণ অনুরাগের প্রকাশ। এবার এই দেশের নব সংসদ ভবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে “সেঙ্গোল” নামের সেই আনুগত্যের আরও একটা স্থায়ী প্রকাশ।

সেঙ্গোল তামিল “সেম্মৈ” শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘ন্যায়’ বা ‘ধার্মিকতা’, এবং “কোল”, যার অর্থ একটি ‘লাঠি’ বা ‘যষ্টি’। যা হল একটি ঐতিহাসিক সোনার রাজদণ্ড বা ধর্মদণ্ড। যা বৃটিশদের থেকে দেশীয় শাসকদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসাবে কমনওয়েল্থের একটা সদস্য রাষ্ট্রের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহেরুর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ২৫শে আগস্ট, ১৯৪৭-এর টাইম ম্যাগাজিনের ২৮ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা আছে অন্যকিছু। কিন্তু আপাতত আমরা ইতিহাস খুঁড়ে সত্য উদ্ঘাটনের রাস্তায় না দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দিয়েই বিষয়টি পর্যালোচনা করছি।

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ইংরেজ শাসকগণ দেশীয় শাসকগোষ্ঠীর হাতে ভারতের শাসন ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল। দেশের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বয়ান অনুযায়ী, ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে নেহরুর কাছে মাউন্টব্যাটনের প্রশ্ন ছিল, ভারতের ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক কী হবে? তখন নেহরু বিষয়টি নিয়ে দেশের শেষ গভর্নর জেনারেল সি. রাজাগোপালাচারীর সঙ্গে আলোচনা করেন। সি. রাজাগোপালাচারী তামিল পরিবারের সন্তান হওয়ায়, তিনি নেহরুকে তামিলনাড়ুর রাজপরিবারের ঐতিহ্যের বিষয়ে এই সিঙ্গোল প্রথার প্রস্তাব করেন। এই প্রথার সূত্রপাত সম্পূর্ণ সামন্ততান্ত্রিক চোল রাজাদের শাসনকালে। রাজা রাজাগোপালাচারী নেহরুকে ব্রিটিশদের হাত থেকে সেই প্রথা হিসেবেই রাজদণ্ড নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যদিও বহু ঐতিহাসিক মনে করেন এটা সামন্ত শাসকদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ইওরোপিয় সাম্রাজ্যপ্রথার নিজস্ব প্রথাও। তাই যা মেনে নিতে বৃটিশদের কোনো সমস্যা হয়নি।

অমিত শাহের বর্ননা অনুযায়ী, মাউন্টব্যাটনের পরামর্শে নেহরু ঐতিহাসিক রাজদণ্ডটি জোগাড় করার গুরুভার দেন রাজাগোপালাচারীকেই। রাজাগোপালাচারী রাজদণ্ডটি তৈরির জন্য তামিলনাড়ুর মঠ ‘তিরুভাদুথুরাই আথিনাম’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মঠের তৎকালীন গুরু রাজদণ্ড তৈরি করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিরুভাদুথুরাই আথিনাম মঠ আবার সেই রাজদণ্ড তৈরির দায়িত্ব তৎকালীন মাদ্রাজের এক প্রখ্যাত জহুরি ভুম্মিডি বঙ্গারু চেট্টির হাতে দেয়। বঙ্গারুই সেই সোনার রাজদণ্ড তৈরি করেছিলেন।

তৈরির পর সেই রাজদণ্ড মঠের কাছে হস্তান্তরিত হয় ও মঠ আবার সেটা মাউন্টব্যাটনের হাতে তুলে দিয়েছিল। এর পর রাজদণ্ডটি মাউন্টব্যাটনের থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। রাজদণ্ড সেঙ্গোলে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ১৯৪৭ সালের ১৪ অগস্ট মধ্যরাতের মিনিট পনেরো আগে নেহরুর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। নেহরুর রাজদণ্ড গ্রহণ করার মুহূর্তের কথা মাথায় রেখে একটি বিশেষ গানও রচনা করা হয়েছিল, এবং নির্দিষ্ট সময়ে গানটি পরিবেশিত হয়েছিল।

ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্লজ্জ প্রতীক হিসেবে যেটা এতদিন প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ)-এ একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত ছিল। আজ পর্যন্ত কোনো শাসকই আত্মসমর্পণের লজ্জাজনক যে সিঙ্গেলটা প্রকাশ্যে আনার মতো সাহস করেননি। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অত্যন্ত সাহসের সাথে সেখান থেকে এটাকে ২০২৩ সালের ২৮শে মে নতুন সংসদ ভবনে প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। চলমান দাসত্বের নিদর্শন হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের সাধের “সেন্ট্রাল ভিস্তা”র নতুন সংসদ ভবনে স্পিকারের আসনের ঠিক পাশেই ভারতের আধা উপনিবেশিক পরাধীনতার এই প্রতীক এবার থেকে নির্লজ্জতার নিদর্শন হয়ে শোভা পাবে বলে হৈ হৈ করে দেশীয় মিডিয়া জানান দিচ্ছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, সেঙ্গোল নিয়ে গুগল সার্চ করলে এই মুহূর্তে যতো প্রতিবেদন দেখা যাচ্ছে, সেগুলোর বয়স মেরে কেটে দিন তিনেকের বেশি পুরোনো নয়।

জানা যাচ্ছে, সেঙ্গোলটি খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি, এবং প্রায় ১৮ ইঞ্চি (মতান্তরে পাঁচ ফুট) লম্বা। এটা জটিল নকশা দিয়ে সজ্জিত এবং উপরে (অত্যন্ত ইঙ্গিতবাহী একটা নন্দীর (শিবের বাহন ষাঁড়ের) মূর্তি রয়েছে। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল, হিন্দুধর্মে নন্দী একটা পবিত্র প্রাণী, এবং শক্তির প্রতীক।

কিন্তু গোমাতার সন্তান হিসেবে নিজেদের গর্ব করা আরে-শেষ থুড়ি আরএসএসের একসময়কার কারিয়াকর্তাদের (কার্যকর্তা) এই ষাঁড়ের (মতান্তরে বলদ) প্রতিকৃতি খচিত এই সেঙ্গোল স্থাপনের উদ্দেশ্য কী? যদিও আমরা জানি এবং মানি এমন প্রতীক আধা উপনিবেশিক মুচলেকারই স্বীকারোক্তি।

দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বক্তব্য পর্যালোচনার পর, এবারে আসি ইতিহাসে। কি ছিল ২৫ আগস্টের টাইম ম্যাগাজিনের ২৮ য়ের পাতায়? সেই লাইনগুলো আমরা হুবহু তুলে দিলাম, সাথে দিলাম টাইম ম্যাগাজিনের লিঙ্ক। নিজেরাই পড়ে বুঝে নিন, সরকারি বক্তব্যে কতটা সত্যি আর কতটা হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি।

ছবি ঋণ : টাইম ম্যাগাজিন

টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন: INDIA: Oh Lovely Dawn

As the great day approached, Indians thanked their varied gods and rejoiced with special prayers, poems and songs. Poetess Sarojini Naidu set the theme in a radio message: “Oh lovely dawn of freedom that breaks in gold and purple over the ancient capital o . .!”

বাংলা তর্জমা
স্বাধীনতার মহান দিনটি এগিয়ে  আসার সাথে সাথে সমস্ত ভারতীয় তাদের বিভিন্ন দেবী দেবতাদের স্মরণে বিশেষ প্রার্থনা, কবিতা এবং গানের সাথে আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠেন । কবি সরোজিনী নাইডু একটি রেডিও বার্তায় এই মহান দিনটির প্রস্তাবনা করেছিলেন: “ওহ লাভলী ডন ..!”

Blessing with Ashes. Even such an agnostic as Jawaharlal Nehru, on the eve of becoming India’s first Prime Minister, fell into the religious spirit. From Tanjore in south India came two emissaries of Sri Amblavana Desigar, head of a sannyasi order of Hindu ascetics. Sri Amblavana thought that Nehru, as first Indian head of a really Indian Government ought, like ancient Hindu kings, to receive the symbol of power and authority from Hindu holy men.

বাংলা তর্জমা
আশীর্বাদি ভস্ম । স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রাক্কালে পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর মতো ধর্মবিশ্বাসহীন মানুষ ও ধর্মীয় চেতনায় আচ্ছন্ন হয়ে  পড়েছিলেন। দক্ষিণ ভারতের তাঞ্জোর থেকে একটি হিন্দু সন্ন্যাসী শাখার প্রধান শ্রী অম্বলাভানা দেশীগারের দুইজন দূত এসেছিলেন। শ্রী অম্বলাভানা মনে করতেন যে, সত্যিকারের ভারতীয় সরকারের প্রথম ভারতীয় প্রধান হিসেবে নেহেরুকে, প্রাচীন হিন্দু রাজাদের মতো, হিন্দু পবিত্র পুরুষদের কাছ থেকে ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের প্রতীক গ্রহণ করা উচিত।

With the emissaries came south India’s most famous player of the nagasaram, a special kind of Indian flute. Like other sannyasis, who abstain from hair-cutting and hair-combing, the two emissaries wore their long hair properly matted and wound round their heads. Their naked chests and foreheads were streaked with sacred ash, blessed by Sri Amblavana. In an ancient Ford, the evening of Aug. 14, they began their slow, solemn progress to Nehru’s house. Ahead walked the flutist, stopping every 100 yards or so to sit on the road and play his flute for about 15 minutes. Another escort bore a large silver platter. On it was the pithambaram (cloth of God), a costly silk fabric with patterns of golden thread.

বাংলা তর্জমা
দূতদের সাথে এসেছিলেন দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত নাগাসারাম, বিশেষ ধরনের ভারতীয় বাঁশি, বাদক । অন্যান্য সন্ন্যাসীদের মতো, যারা কোনরকম কেস পরিচর্যা থেকে বিরত থাকেন, দুজন দূত জটাধারী ছিলেন । তাদের নগ্ন বক্ষ এবং কপাল শ্রী অম্বলাবন দ্বারা আশীর্বাদি  পবিত্র ভস্ম  দ্বারা চর্চিত ছিল। ১৪ই  আগস্ট সন্ধ্যায়, একটি প্রাচীন ফোর্ড গাড়িতে , তারা নেহরুর বাড়ির দিকে তাদের ধীরস্থির যাত্রা  শুরু করেছিলেন। সামনে ছিলেন বাঁশিওয়ালারা , প্রতি ১০০ গজ অন্তর রাস্তার উপর বসে প্রায় ১৫  মিনিটের জন্য তাঁরা বাঁশি বাজাচ্ছিলেন  । একজন সহচর একটি বড় রূপালী থালা বহন করছিলেন । এটির উপরে সোনার সুতোর নিদর্শন সহ একটি দামী সিল্কের পিথাম্বরম (ঈশ্বরের কাপড়) ছিল।

When at last they reached Nehru’s house, the flutist played while the sannyasis awaited an invitation from Nehru.

বাংলা তর্জমা
অবশেষে গন্তব্যস্থলে পৌঁছিয়ে যখন সন্ন্যাসীরা নেহরুর আমন্ত্রণের অপেক্ষা করছিলেন তখন বাঁশিওয়ালারা বাঁশি বাজিয়েছিলেন।

Then they entered the house in dignity, fanned by two boys with special fans of deer hair. One sannyasi carried a scepter of gold, five feet long, two inches thick. He sprinkled Nehru with holy water from Tanjore and drew a streak in sacred ash across Nehru’s forehead. Then he wrapped Nehru in the pithambaram and handed him the golden scepter. He also gave Nehru some cooked rice which had been offered that very morning to the dancing god Nataraja in south India, then flown by plane to Delhi.

বাংলা তর্জমা
তারপর তাঁরা সসম্মানে নেহরুর বাড়িতে প্রবেশ করেন যেখানে হরিণের চুলের বিশেষ পাখাওয়ালা পাখা দিয়ে দুটি ছেলে তাঁদের হাওয়া করছিল । একজন সন্ন্যাসী পাঁচ ফুট লম্বা, দুই ইঞ্চি পুরু সোনার রাজদণ্ড বহন করছিলেন । তিনি তাঞ্জোরের পবিত্র জল দিয়ে নেহরুকে শুদ্ধ করেন  এবং নেহরুর কপাল জুড়ে পবিত্র ছাইয়ের রেখা আঁকেন। তারপর তিনি নেহরুকে পিথাম্বরমে জড়িয়ে দিয়ে হাতে সোনার রাজদণ্ড দেন। তিনি নেহরুকে কিছু রান্না করা ভাতও দিয়েছিলেন যা সেই দিন সকালেই দক্ষিণ ভারতের নৃত্য দেবতা নটরাজকে দেওয়া হয় ও তারপর বিমানে করে, দিল্লিতে পাঠানো হয়।

Later that evening Nehru, and other men who would be India’s new rulers on the morrow, went to the home of Rajendra Prasad, president of the Constituent Assembly. On his back lawn four plantain trees served as pillars for a temporary miniature temple. A roof of fresh green leaves sheltered a holy fire attended by a Brahman priest. There, while several thousand women chanted hymns, the ministers-to-be and constitution-makers passed in front of the priest, who sprinkled holy water on them. The oldest woman placed dots of red powder (for luck) on each man’s forehead.

বাংলা তর্জমা
সেই সন্ধ্যায় নেহেরু এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ যাঁরা আগামীদিনে ভারতের নতুন শাসক হবেন, তাঁরা গণপরিষদের সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের বাড়িতে যান। রাজেন্দ্র প্রসাদের বাড়ির পিছনের লনে চারটি কলাগাছ একটি অস্থায়ী ক্ষুদ্র মন্দিরের স্তম্ভ হিসাবে কাজ করেছিল। একজন ব্রাহ্মণ পুরোহিত তাজা সবুজ পাতার আচ্ছাদন দেওয়া  একটি পবিত্র আগুনের পৌরহিত্য করছিলেন। সেখানে, কয়েক হাজার মহিলা স্তোত্র উচ্চারণ করার সময়, মন্ত্রী এবং সংবিধান প্রণেতারা পুরোহিতের সামনে দিয়ে যান ও পুরোহিত  তাঁদের উপর পবিত্র জল ছিটিয়ে দেন । সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা প্রতিটি পুরুষের কপালে লাল বিন্দু (ভাগ্যের জন্য) এঁকে দেন।

Tryst with Destiny. Thus dedicated, India’s rulers turned to the secular business of the evening. At 11 o’clock they gathered in the Constituent Assembly Hall, ablaze with the colors of India’s new tricolor flag—orange, white and green. Nehru made an inspired speech: “Long years ago we made a tryst with destiny, and now the time comes when we shall redeem our pledge. . . .At the stroke of midnight hour, when the world sleeps, India will awake to life and freedom.”

বাংলা তর্জমা
ভাগ্যের সঙ্গম। এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত, ভারতের শাসকরা সন্ধ্যার সময় ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে ঝুঁকলেন। ১১ টায় তারা গণপরিষদ হলে জড়ো হয়, ভারতের নতুন তেরঙা পতাকার রঙে জ্বলে ওঠে – কমলা, সাদা এবং সবুজ। নেহেরু একটি আদর্শময় বক্তৃতা করেছিলেন: “দীর্ঘ বছর আগে আমরা ভাগ্যের সঙ্গম গ্রহণ করেছিলাম, এবং এখন সময় আসে যখন আমরা আমাদের অঙ্গীকার মেনে নিতে চলেছি। … মধ্যরাতের ঘড়ির সময়, যখন বিশ্ব ঘুমায়, তখন ভারতে জীবন এবং স্বাধীনতায় জাগরিত হবে।”

এই প্রসঙ্গে জেনে রাখা ভালো টাইম ম্যাগাজিন বিশ্বের একটি প্রাচীন এবং ঐতহ্যশালী আমেরিকান ম্যাগাজিন। এই প্রতিবেদনে লেখা আছে একজন সন্ন্যাসী একটি স্বর্ণদন্ড তুলে দেন নেহেরুর হাতে। আর আমরা নিশিচত লর্ড মাউন্টব্যাটেন সন্ন্যাসী কিংবা ফকির কোনোটাই ছিলেন না। তাহলে তিনি ছিলেন কে? আপনারাই ভেবে বলুন। এই প্রতিবেদন পড়ে আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন কমেন্ট বক্সে। আমরা অপেক্ষায় রইব।

ধন্যবাদান্তে
রাইজ অফ ভয়েসেস