ভোটবাক্সের লক্ষ্মী-সরস্বতীরা / Laxmi Vs. Saraswati
বাংলায় ১লা নভেম্বর থেকে ফের শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারে ফের আবেদন করা যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। বাংলার গৃহবধূদের আর্থিক সহায়তা দিতে, গত বছর ১ সেপ্টেম্বর থেকেই চালু হয় ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প!এই প্রকল্পের অধীনে সাধারণ মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন রাজ্য সরকারের থেকে। আর তফসিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলাদের ক্ষেত্রে সেই সাহায্যটা বেড়ে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে নির্ধারিত করা হয়েছে সরকারের তরফে। ভারতের মত উন্নয়নশীল দেশের পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় এই প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ থাকবার কথা নয়। বাস্তবচিত্রও তাই বলছে। শুরুর দিন থেকেই রাজ্য জুড়ে এই প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে! আজও এর জনপ্রিয়তা অটুট। আমাদের স্থির বিশ্বাস এবারও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদনের জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্প গুলোতে সুদীর্ঘ লাইন পড়বে।
কেউ কেউ বলছেন, এটা নাকি ভিক্ষা! তাই কি! আমরা রাইজ অফ ভয়েসেস এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করি। হ্যাঁ, মাসিক মাত্র এই কটা টাকায় হয়তো স্বাবলম্বী হওয়া যায় না ঠিকই, কিন্তু বাংলার মা-বোনেরা উদয়াস্ত সাংসারিক ঘরকন্যা সামলে দিনের শেষে বাড়ির পুরুষদের থেকে কতটাই বা আর্থিক স্বাধীনতা পান! তাদের মধ্যে এই পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মত মাসিক ৫০০-১০০০ টাকার জনপ্রিয়তা পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যবাদের কঙ্কালসার চেহারাটা বাইরে এনে ফেলেছে! এমনকি আমাদের কাছে এমনও সুনির্দ্দিষ্ট বহু উদাহরণ আছে যেখানে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় বাড়ির মহিলারা নিজেদের শখ-আহ্লাদ নয়, সংসার চালান, সন্তানের লেখাপড়ার খরচ মেটান অথবা পরিবারের বয়স্কদের মাসিক চিকিৎসার জন্য খরচা করেন। কাজেই আমাদের মতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক প্রকল্প যাকে ‘ভিক্ষাবৃত্তি’ বলে গাল পাড়লে নিজেদের কূপমণ্ডূক উন্নাসিকতাই প্রকাশ পায়।
এবার লক্ষীকে ছেড়ে একটু স্বরস্বতীর কথায় আসা যাক।
গত একদশকে আমাদের রাজ্যে সরকার পরিচালিত ৭ হাজারের বেশি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে মূলতঃ পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে ও শিক্ষক-শিক্ষিকার অপ্রতুলতার কারণে। সারা রাজ্যে এই মুহুর্তে স্কুল গুলোতে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর পদ খালি পড়ে আছে। অথচ সেখানে দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ। যেটুকু যা নিয়োগ হয়েছে তাতেও রয়েছে চরম স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি! আর তাই আজও টেট/এসএসসি পাশ করা যোগ্য ন্যায্য চাকরিপ্রার্থীরা রোদে পুড়ে, জলে ভিজে চাকরির দাবিতে মহানগরের রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামীকাল সেই আন্দোলন ৬০০ দিনে পা রাখবে। অথচ সরকার যেন দেখেও দেখছে না। কারণ তাদের নেতা-মন্ত্রীরা এই মুহুর্তে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে নজিরবিহীন দুর্নীতির কারণে ইতিমধ্যেই জেল খাটছেন।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে মানবিক সরকার বাংলার মা-বোনেদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করবার জন্য এতটা যত্নবান, সেই তারাই বাংলার ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে হঠাৎ এমন তামাশা করতে গেলেন কেন! মানবিকতার আড়াল থেকে কোথাও যেন একটা অমানবিক দিক উঁকি মারছে! তবে কি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’টা মুখোশ! মুখটা বা সরকারের অভিমুখটা আদৌ অতটা মানবিক নয়, যতটা মুখোশ দেখে মনে হচ্ছে!
আপাতদৃষ্টিতে সেটা বোঝা না গেলেও, আমরা রাইজ অফ ভয়েসেস আমাদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে অঙ্ক কষে সেই আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাজনৈতিক মুখটাই বার করে আনবার চেষ্টা করেছি।
জটিল সেই অঙ্ককে সরলভাবে বোঝানোর জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের যেকোন একটা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ব্লক।
আমরা নিচ্ছি নওদা ব্লক। ২৩০.৬৯ বর্গকিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ জেলার এই ব্লকে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের বাস। গোটা ব্লকে এই মুহূর্তে ১৫ টা হাই স্কুল আর দুটি হাই মাদ্রাসা। সরকারী হিসেব অনুযায়ী মোট ছাত্রছাত্রী ২৫,৫১১ জন ও তাদের পঠন পাঠনের জন্যে সরকারি ভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকার কথা ৫৩৪ জনের, কিন্তু আছেন ৩০৮ জন। শূন্যপদ ২২৬। অর্থাৎ, নওদা ব্লকের শিক্ষক শিক্ষিকা পদে প্রায় ৪২.৬৯% আসন খালি। তালিকাটি নীচে দেওয়া হলো।
স্কুলের নাম | পড়ুয়া | শুন্যপদ | উচ্চ মাধ্যমিকে কোন বিষয়ে শিক্ষক নেই |
---|---|---|---|
ডাকাতিয়াপোতা হাই স্কুল | ৪১৩ | ১০ | |
সর্বাঙ্গপুর হাই স্কুল | ২,১৩৮ | ২৬ | ইতিহাস, ভূগোল, দর্শন |
বালি হাই স্কুল | ৭৫৬ | ৬ | সংস্কৃত |
টুঙ্গি হাই স্কুল | ৯৬০ | ১০ | সংস্কৃত, শিক্ষাবিজ্ঞান |
শ্যামনগর হাই স্কুল | ২,৪২০ | ২৪ | ইংরেজি, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান |
পাটিকাবাড়ি হাই স্কুল | ৩,১১০ | ২৬ | কেমিস্ট্রি |
বৃন্দাবনপুর হাই স্কুল | ৭৫৫ | ১০ | |
নওদা হাই স্কুল | ২,২০৫ | ২০ | দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান |
আমতলা গার্লস স্কুল | ২,২০৫ | ২২ | ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান |
আমতলা হাই স্কুল | ২,০৯১ | ১২ | |
ডাঙ্গাপাড়া মোক্তারপুর হাই স্কুল | ১,০২৩ | ৯ | বাংলা, ইংরেজি, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান |
গঙ্গাধরী হাই মাদ্রাসা | ৩৪০ | ১ | |
দুর্লভপুর হাই স্কুল | ১,১২৬ | ১০ | ইংরেজি, অঙ্ক, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি |
সোনাটিকুরী হাই স্কুল | ৫৫০ | ৩ | |
সরযূবালা বিদ্যাপীঠ | ১,৯০৫ | ৬ | শিক্ষাবিজ্ঞান |
ত্রিমোহিনী হাই মাদ্রাসা | ১,৫৫৪ | ১৮ | রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শিক্ষাবিজ্ঞান |
ঝাউবোনা হাই স্কুল | ১,৯৬০ | ১৩ | রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শিক্ষাবিজ্ঞান, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি |
মোট ১৭ স্কুল | ২৫,৫১১ | ২২৬ |
এখন স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা নেই, তার মানে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে গেলেও সব ক্লাস হয় না। প্যানেলে নাম ওঠা ২২৬ জনের নিয়োগ সেখানে সরকার তো ইচ্ছে করলেই করতে পারে পারে! নাহ, তা হচ্ছে না, ক্লাস রুমের জায়গায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঠাঁই এখন খোলা আকাশের নিচে। আরও লক্ষ্য করবার বিষয়, প্রায় সব স্কুলে একাদশ-দ্বাদশশ্রেণীতে বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষক নেই। মানে যে বিষয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাবে, সেই বিষয় নিয়ে স্কুলে একদিনও ক্লাস হবে না। অর্থ্যাৎ এই ব্লকের ছেলেমেয়েদের অনেকেই উচ্চমাধ্যমিক পড়বার জন্য এই স্কুল গুলোতে ভর্তি হবে না। অনেকেই পার্শ্ববর্তী ব্লকের দূর-দূরান্তের স্কুলে পড়তে যেতে বাধ্য হবে, নয়তো মাধ্যমিক পাশ করে লেখাপড়াকে চিরতরে বিদায় জানিয়ে শিশুশ্রমে লেগে পড়বে। স্থানীয়দের মধ্যে তৈরি হবে নতুন ন্যারেটিভ, মাধ্যমিক পাশ করবার পর সেই তো গায়ে গতরে খেটে পেট চালাতে হবে, কাজেই স্কুলে যাওয়ার আর দরকার কি! এরফলে ক্রমশ লেখাপড়ার প্রতি অনীহা তৈরি হবে। স্কুল গুলোতে কমতে থাকবে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা যা সরকারকে সাহায্য করবে ‘পর্যাপ্ত ছাত্রছাত্রী নেই’ এই অছিলায় স্কুল গুলোকে বন্ধ করে দিতে। এভাবেই উপরে উল্লেখিত ৭ হাজার সরকারি স্কুল বন্ধ হয়েছে।
ফলে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে ‘শিক্ষা’ বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে না। কেন পড়ে না! কারণ এতে ভোট কমে না। গাঁ-গঞ্জের প্রান্তিক সমাজে যেখানে ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ পরিবারগুলো সরকারি অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল তাদের কাছে এখনও শিক্ষা-লেখাপড়া ব্যাপারটা অনেকটা উপড়ি পাওনার মত, কিন্তু আবশ্যিক নয়। সন্তানকে দু-বেলা পেটভরে খেতে দিতে পারলেই বর্তে যায় তারা। সেটাই তাদের প্রাথমিকতা! ফলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাদের কাছে যতটা জরুরি স্বরস্বতীর ঝাঁপ ততটা নয়। এটাই বাস্তব।
আর এখানেই লুকিয়ে আছে যে অঙ্কটার কথা বলছিলাম, তার শেকড়টা।
একজন শিক্ষক শিক্ষিকা পদে চাকরি পেলে, চাকরির শুরুতে তার বেতন হয় মোটামুটি ভাবে মাসে ৪০,০০০ টাকা। আজ যদি নওদা ব্লকে ২২৬ জন শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন, সেক্ষেত্রে সরকারের কোষাগার থেকে প্রতি মাসে ৯০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে। যদি সেটা হয়, তাহলে স্কুলে স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্যে পর্যাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা পাবে। কিন্তু তাতে কি মানুষ সরকারকে ভোট দেবেন? নাকি, মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ৫০০ টাকা করে, ছাত্রছাত্রীদের ১৮,০৮০ জন মায়েদের মধ্যে ৯০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ভাগ করে দিলে ভোট প্রাপ্তি বেশি হবে?
নওদা ব্লকের ২৫,৫১১ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা যারা প্রাপ্য শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন (সবাই হচ্ছেন না কিন্তু!) তাদের অধিকাংশই প্রান্তিক পরিবার থেকে উঠে আসায় শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের মধ্যে সচেতনতা নেই বললেই চলে। মিড-ডে মিল দিয়ে তাদেরকে স্কুলে ডেকে আনতে হয়। আর সব থেকে বড় কথা তারা আপাতত ভোটার নন। আর তাদের অভিভাবকেরাও দু-বেলা দু-মুঠো সংস্থানের জন্য উদয়াস্ত খাটতে ব্যস্ত। কেউ কেউ পরিযায়ী। সেখানে সন্তানের লেখাপড়া নিয়ে তাদের ভাববার সময় কোথায়! অনেক অভিভাবক-অভিভাবিকারা নিজেরাই শৈশবে কোনদিন স্কুলের ত্রি-সীমানায় যাওয়ার সুযোগ পাননি। এনাদের কাছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাসিক ৫০০-১০০০ টাকা অনেক বেশি জরুরি।
ফলে সরকারি অব্যবস্থা ও অপ্রতুলতার কারণে সন্তানের লেখাপড়ার সুযোগ কমে যাওয়ায় ভোট যতটা না কমে, তার থেকে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা লাটে তুলে দিয়ে সেই বেঁচে যাওয়া টাকায় ১৮ হাজারের বেশি মা-বোনকে মাসিক আর্থিক সাহায্য দিলে ভোট বাড়ে অনেক বেশি! তার পাশে ২২৬ জন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী ও তার পরিবারের ভোট নগণ্য।
আর এখানেই লুকিয়ে আছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া মানবিক সরকারের রাজনৈতিক অভিমুখটা। ঠিক সেই কাজটুকুই এনারা মানবিকতার মুখোশ এঁটে করেন যাতে ভোট আসে! কাজেই জেলায় জেলায় শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবে একটার পর একটা স্কুল বন্ধ হতেই থাকবে, অথচ বৈধ ন্যায্য নিয়োগ হবে না; স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়বে অথচ ভোট কমবে না, এটা সরকার বাহাদুর জানেন।
তথাকথিত শহুরে শিক্ষিত সমাজ তো উদয়ন পণ্ডিতের উদাহরণ টেনেই ক্ষান্ত, “এরা যত বেশি পড়ে, তত বেশি জানে, তত কম মানে” মিম বানিয়ে ক্লান্ত। কেউ কেউ আবার বলছেন, এই ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে না পারলে ইতিহাস নাকি আমাদের ক্ষমা করবে না! বড্ড ক্লিশে লাইন! কারণ বর্তমান না বাঁচলে ভবিষ্যতে ইতিহাসের পাতা ওল্টাবার জন্য আদৌ লোক খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সে ব্যাপারে আমরা রাইজ অফ ভয়েসেস যথেষ্ট সন্দিহান!
আমরা চাই, রাজ্য সরকারের “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যে নতুন আবেদনপত্র যেমন জমা পড়ুক, ঠিক তেমনই দলে দলে বাংলার মা-বোনেরা তাদের ছেলেমেয়ে ভাইবোনদের লেখাপড়া নিয়ে সমানভাবে সচেতন ও সোচ্চার হোন! কিন্তু এই সচেতনতাটা প্রান্তিক সমাজে পৌঁছাবে কিভাবে! সেটা কি আর মহানগরের রাস্তা কাঁপিয়ে সিনেমা-থিয়েটারের নটনটীদের সাথে নাগরিক মিছিলে পা মিলিয়ে সম্ভব! প্রতীকি প্রতিবাদ হিসেবে কর্মসূচীটা ভালো। কিন্তু এখানেই থামলে চলবে না।
অধিকাংশ বাঙালির মতে ছাত্রাবস্থায় সরস্বতী আরাধনাতেই (মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা) ভবিষ্যত জীবনে লক্ষ্মীলাভ (জীবিকা) হয়। লক্ষ্মী-সরস্বতীরা একে অপরের পরিপূরক, সেটা মানুষকে বোঝানো প্রয়োজন। সেই আবেদন সাথে করে প্রান্তিক সমাজের প্রতিটি দরজায় পৌঁছনো দরকার। বোঝাতে হবে জনে জনে মা-বোনেদের! বাবা-কাকাদের! কাজটা সময়সাপেক্ষ। চটজলদি আশু সমাধান প্রায় নেই বললেই চলে! কিন্তু যত তাড়াতাড়ি কাজটা শুরু করা যায় ততই ভালো। পারলে আজ এবং এখনই। এই নভেম্বরেই ঘরে ঘরে যাওয়া শুরু হোক! কিন্তু মাস ফুরোলেই থামলে চলবে না। কারণ মনে রাখবেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা কিন্তু প্রতি মাসেই জমা হবে!
ধন্যবাদান্তে,
রাইজ অফ ভয়েসেস
Comments are closed.