মগজধোলাই / The Art of Brainwashing

নিজাম প্যালেসের গেট দিয়ে ফ্রেঞ্চকাট মহামহিম বেরিয়ে আসবার পর ২৪ ঘন্টাও কাটল না, পেটমোটা গুড়-বাতাসার সওদাগর নিজে থেকে হাজির হয়ে গেলেন! তাও আবার সকাল বেলা নির্ধারিত সময়ের মিনিট ১৫-২০ আগে।

এরপর বেলা ঘুরতে না ঘুরতেই আবার খবর। কানন ও “কাক” কাকার বিরুদ্ধেও নাকি সিবিআই তদন্ত শুরু হচ্ছে। দুজনে মিলে হেরিটেজ সম্পত্তি ত্রিপুরা ভবনের একাংশ নাকি বেচে দিয়েছেন অনৈতিকভাবে।

এসবের আগে গতকাল সকালে মানিকতলার শাসকদলের বিধায়ক একটি খুনের মামলায় সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিয়ে গেছেন।
মানে সিবিআই দপ্তর যেন একটা “প্রেজেন্ট প্লিজ” করবার জায়গা। একে একে নেতারা আসছেন খাতায় নাম লেখাচ্ছেন আর তারপর ভুজুং ভাজুং দিয়ে কেটে পড়ছেন।

আর এসব দেখে বুকে বল পেয়ে রাজ্যের উধাও হয়ে যাওয়া শিক্ষামন্ত্রীও নাকি নিজাম প্যালেসে সন্ধ্যের দিকে হাজিরা দেবেন বলে খবর ছড়িয়েছে।

এ যেন শাসকদলের নেতাদের নিজাম প্যালেসে আসা যাওয়ার লাইন লেগে গেছে ! যেন জানে “যাব আর আসব”!

তাও আবার কেশিয়ারীতে কূলগুরুকে ফল-মিষ্টি পাঠানোর পরপরই!

মিডিয়ার খবর সিবিআই এমন কঠিন প্রশ্নমালা তৈরি করেছে যে, বেশিরভাগ নেতাই উত্তর দিতে গিয়ে অনেককিছু মনে করতে পারছেন না। অথচ সিবিআই তারপরও কাউকে ধরেনি। কাজেই অপ্রিয় প্রশ্নটা উঠছেই!

নিজাম প্যালেসে সারদা-নারদা কেসের মত সিবিআই এর তরফে “হীরের চচ্চরি”, “সোনার ডানলা” ইত্যাদি হজম করবার হজমী বিতরণ চলছে না তো? যাই হোক, আপনারা বরং “মগজধোলাই”এর গান শুনে নিন।

গেয়েছেন ড. সৌমিক দাস