এবারে গ্যাস লিক / Khardah Gas Leak
বুধবার সকাল ১১:৩০। মেন্টেনেন্স বিভাগের কর্মীরা কাজ করছিলেন ইসিএলে (ইলেক্ট্রোস্টিল কাস্টিং লিমিটেড), হঠাৎই দুর্ঘটনা। লিক করল গ্যাস পাইপ। বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ ৬ জন। অসুস্থদের নিয়ে তড়িঘড়ি ছোটা হল কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়, একজন ইসিএলের খড়দহের বাসিন্দা সুপারভাইজার স্বপ্নদীপ মুখোপাধ্যায়, অন্যজন টিটাগড়ের বাসিন্দা রঞ্জিত সিং। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরো একজন, তার রোহিত মাহাতো, তার চিকিৎসা চলছে বেসরকারি হাসপাতালে।
দুজনের মৃত্যুর খবর আসতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ইসিএল চত্বরে, আর তাতে ঘৃতাহুতি দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষের মনোভাব। কারণ এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেও প্রাথমিকভাবে কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কারখানার শ্রমিক কর্মচারীরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কারখানার আশেপাশের এলাকা। আসে পুলিশ, মোতায়েন হয় র্যাফ। চাপের মুখে কারখানার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিটু প্রতিনিধি দল পৌঁছয় কারখানায়। দেখা করেন ইসিএলের কর্তৃপক্ষের সাথে এবং মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা এবং পরিবারের একজনের চাকরির দাবি রাখেন।
হয়ত প্রথম সারির মিডিয়া এই খবর তুলে ধরবে না, কারণ বাইনারির এই যুগে, শ্রমিকের মৃত্যুর টিআরপি নেই, কিন্তু দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টাকার ফলাহারের গুরুত্ব তাদের কাছে অনেক বেশি।
কিন্তু যতই যাই হোক, শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐক্যশক্তিতেই উৎপত্তি হয় পুঁজির। নাহলে পুঁজির কোনো ভ্যালু নেই।
ধন্যবাদান্তে
রাইজ অফ ভয়েসেস
Comments are closed.