ফের একবার গরু’র রচনা / Cow Again!

আমাদের লেখা সেই পুরানো ‘গপ্পের গরুটা’কে মনে আছে, যেটা এর আগে দু-দুবার গাছে উঠেছিল এবং মগডাল থেকে দুবারই মুখ থুবড়ে পড়েছিল! আর তারপর গা-ঝাড়া দিয়ে উঠে আর কোনদিকে না তাকিয়ে আমাদের ‘মন’ ফেলে পালিয়ে একছুটে বনে ঢুকে গেছিল!

সেই বেহায়া গরুটা আবার বেরিয়েছে! বন থেকে বেরিয়ে এসে ফের একবার আমাদের মনে ঢুকবো ঢুকবো করছে! অবশ্য এবার আর একা আসেনি। সঙ্গে কিছু সাঙ্গপাঙ্গও জুটিয়েছে। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না, কারণ একটা গরুই হোক বা অনেক গরু, তাদের চিৎকারটা তো একই রে বাবা! ‘হাম্বা’ ছাড়া অন্য কোন ডাক আজ পর্যন্ত কোন গরু কি ডেকে উঠতে পেরেছে! তাহলে….

তবে হ্যাঁ, এদের ডাকের গাম্ভীর্যে ও গভীরতায় কিছুটা ভিন্নতা আছে। এদের কেউ কেউ মিহি গলায় ডাকছে, কারো আবার ‘ব্যারিটোন’ ভয়েস! কেউ আবার ‘দিওয়ার’ সিনেমার শশী কাপুরের মতো বলে বসছে মেরে পাস ‘গ্যারান্টি’ হ্যায়! অর্থ্যাৎ গ্যারান্টি দিচ্ছি এবার আর গরু গাছে উঠছে না, মাটি কামড়ে মাটিতেই পড়ে থাকছে!

প্রতিবেদনের এতটা পর্যন্ত পড়ে যারা ভাবছেন আমরা রাইজ অফ ভয়েসেস হঠাৎ খামোখা গরুর ভয়েস নিয়ে পড়লাম কেন, তাদেরকে জানিয়ে দিই, এই গরুগুলো বা গরুর পালটা দলবেঁধে ফের একবার কায়দা করে আমাদের ‘ভয়েস’ বা ‘জনমত’কে প্রভাবিত করবার চেষ্টা করছে।

যারা এখনও ধরতে পারেননি, তাদেরকে বলি আমরা আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে খবরের চ্যানেলে চ্যানেলে দেখানো জনমত সমীক্ষার কথা বলছি। এমনিতেই দেখবেন দেশের সমস্ত খবরের চ্যানেলে ইদানীং খবর দেখায় কম, বেশিরভাগ সময়টাই তাদের চলে যায় রাজনৈতিক বিতর্ক বা পলিটিক্যাল ডিবেট দেখিয়ে। ফলে তারা সেগুলোকেই খবর হিসেবে হাইলাইট করে, যেগুলো থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখপাত্রদের এবং বিশেষজ্ঞ বা সাংবাদিক তকমা দিয়ে একদল রাজনৈতিক চাটুকারকে পাশাপাশি বসিয়ে একটা বেশ রগরগে রাজনৈতিক বিতর্কের অনুষ্ঠান করা যায়। আর সামনে ভোট এসে পড়ায় এখন বাকি খবর দেখানো বাদ দিয়ে তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে ‘জনমত’ যাচাইয়ের নামে বিভিন্ন পক্ষপাতদুষ্ট সমীক্ষার বাজারে আনাগোনা। পাড়ার মোড়ের ভৃগু থেকে সি-ভোটার সবাই এক এক করে তাদের সমীক্ষা ও কোন দল কটা আসন পাবে তার একটা পূর্বাভাস নিয়ে আসছে সামনে। মানে কায়দা করে আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে অমুক দল এতগুলো আসন পাবে, তার প্রাপ্ত ভোট শতাংশ হতে চলেছে এত! শুধু তাই নয়, আসন ভিত্তিক পর্যালোচনা করে তারা কৌশলে আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছে আপনার লোকসভা কেন্দ্রে কে জিতছে…. মানে ঘুরিয়ে তারা বলে দিতে চাইছে আপনি আপনার মূল্যবান ভোটটা যাকেই দিন না কেন…. জিতবেন কিন্তু ইনি! মানে সোজাকথায় আপনার বাকি সহনাগরিকরা ঠিক করে ফেলেছেন কাকে তারা ভোট দিয়ে জেতাবেন, কাজেই আপনার ভোটের সেই অর্থে কোন দাম নেই। মানে সোজা কথায় আপনাকে উত্তেজিত করা বা প্রভাবিত করা যাতে আপনি কোন একটি বিশেষ দলকে আপনার মূল্যবান ভোটটি দেন। এমনকি বহু মানুষ এমনটাও ভাবতে পারেন, ধুস আমার পছন্দের প্রার্থী তো হারবে, তাহলে আর তাকে শুধু শুধু ভোট দিয়ে কি হবে, বরং তার থেকে যে জিতবে তাকে ভোট টা দেওয়া যাক অথবা এই গরমে ঠা-ঠা রোদ্দুরের মধ্যে আর শুধু শুধু হারা প্রার্থীকে ভোট দিতে গয়ে লাভ নেই, বরং তার চেয়ে বাড়িতে বসে একটা ছুটির দিন বিশ্রাম নি। আমাদের দেশের সবজান্তা মহামহিম নির্বাচন কমিশন যে এমনটা হতে পারে বা হয় সে সম্পর্কে বিলক্ষণ অবহিত আছেন। তবুও এব্যাপারে বছরের পর বছর নীরব থেকে তারা নিজেরা যে মোটেই রাজনৈতিক ভাবে নিরপেক্ষ নন সেটাই প্রমাণ করে চলেছেন।

আর কমিশনের এই ‘মৌন’ প্রচ্ছন্ন মদতে বলীয়ান হয়েই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই নিউজ ১৮, ইন্ডিয়া টিভি, টাইমস নাউ, এবিপি আনন্দ প্রকাশ করেছে তাদের ওপিনিওন পোল বা জনমত সমীক্ষা। আর এরা এরা প্রত্যেকেই পশ্চিমবঙ্গে তাদের পোলে এগিয়ে রেখেছে বিজেপিকে। যেমন এবিপি আনন্দ- সিভোটার বলেছে, বিজেপি বাংলা থেকে পেতে পারে ২০ আসন। টাইমস নাউ-এর মতে বিজেপি ২০-২৪ টি আসন পেতে পারে, ইন্ডিয়া টিভির মতে সেটাই ২২, আর নিউজ ১৮ বলছে এই বঙ্গে বিজেপি পাবে ২৫ আসন। ফলে স্বভাবতই বাংলার আমজনতা এই জনমত সমীক্ষায় প্রভাবিত হয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়তেই পারেন। কিন্তু সেটা হবেই আমরা জোর দিয়ে বলতে পারছি না। কারণ আমরা রাইজ অফ ভয়েসেস নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া সাম্প্রতিক পৌরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের সম্পূর্ন তথ্য বিশ্লেষন করে আগেই জানিয়েছি রাজ্যের ৪২ টা কেন্দ্রের মধ্যে ২২ টা কেন্দ্রে বিজেপিকে হঠিয়ে তৃণমূলের প্রধান বিরোধী হিসেবে উঠে এসেছে বাম- কংগ্রেস জোট। বাকি ২০ টিতে প্রধান বিরোধীর মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে পেরেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। যদিও হয়তো অনেকেই বলবেন বিগত পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে অবাধ ভোট লুঠের কথা, কিন্তু সেক্ষেত্রে শাসকের প্রাপ্ত ভোট নিয়ে সংশয় থাকলেও বিরোধীরা যে যেখানে কোমড় বেঁধে নিজের নিজের সাংগঠনিক শক্তির পরিচয় দিয়ে যতটা প্রতিরোধ করতে পেরেছে, সে সেখানে সেইমত ভোট পেয়েছে। ফলে এই ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রে পঞ্চায়েত ও পুরভোটে প্রাপ্ত ভোট শতাংশের নিরিখে প্রধান বিরোধী হিসেবে যে যে দল বা জোট উঠে এসেছে ভোট লুঠ না হলে তাদের অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হতো না বলেই আমাদের বিশ্বাস।

আর তাই পঞ্চায়েত ও পুরভোটের নিরিখে ২০ টা লোকসভা কেন্দ্রে প্রধান বিরোধীর মর্যাদা টিকিয়ে রাখতে পারা একটা দল কিভাবে আসন্ন নির্বাচনে ২০-২৫টা আসন পাবে তা নিয়ে আমরা যথেষ্ট সন্দিহান। না, আমরা কোন সমীক্ষা করিনি, কিন্তু বিগত ২-৩ বছরে রাজ্যজুড়ে অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত ও পুরভোটের পরিসংখ্যানকে অস্বীকারও করতে পারছি না।

বিভিন্ন খবরের চ্যানেলের সমীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের যে ২০-২৫টি আসন বিজেপিকে দেওয়া হচ্ছে তাদের কয়েকটিতে (সবকটার পরিসংখ্যান দিলে লেখাটা খুবই বড় হয়ে যাবে তাই দিচ্ছি না) পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের পরিসংখ্যান দিলেই আমরা ঠিক কি বলতে চাইছি, ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। আর যেহেতু একাধিক চ্যানেল সমীক্ষা করেছে, তাই সবার কথা না বলে আমরা নিচ্ছি এবিপি আনন্দে প্রচারিত সি-ভোটার সমীক্ষার ফলাফলকে।

প্রথমেই শুরু করি হুগলি কেন্দ্র থেকে। টেলিভিশন থেকে সোশ্যাল খুললেই দেখা যাচ্ছে দুই ফিল্ম স্টারের অভিনব প্রচার কৌশল। কিন্তু হুগলি বলছে কি?

হুগলি

২০১৯-এ এই কেন্দ্রে ৬,৭১,৪৪৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর তার দুই বছর বাদেই বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে বিজেপির ভোট এই লোকসভায় কমে যায় প্রায় ৯৮,০০০। তারপরে বাংলার বুকে একে একে অনুষ্ঠিত হয় প্রথমে পৌরসভা আর তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনের লোকসভাওয়াড়ি ফলের নিরিখে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট কমে প্রায় ৩ লক্ষ। বিজেপির মোট প্রাপ্ত ভোট দাঁড়ায় ২,৬৪,৬৮১। যেটা গত লোকসভার তুলনায় প্রায় ৪ লক্ষ ৭ হাজার কম।

হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট

২০১৯ লোকসভা৬,৭১,৪৪৮
২০২১ বিধানসভা ৫,৭৩,৩৫৯
২০২৩ পঞ্চায়েত সমিতি ২,৬৪,৬৮১

কিন্তু এবিপি – সি ভোটার বলছে, এই কেন্দ্রের সম্ভাব্য জয়ী বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। কি করে সম্ভব আমরা জানি না।

এবার আপনারা বলতে পারেন, শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র সন্ত্রাসে বিজেপির লোকজন ভোট দিতে পারেনি। ঠিক আছে মানলাম। তাহলে তো একই ফর্মুলা অন্যান্য বিরোধী দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তারাও তো ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, হুগলি কেন্দ্রে সমীক্ষকদের নজরে শূন্য পাওয়া সিপিআইএম একাই ভোট পেয়েছে, ২,৯০,০৯১, যেটা বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে ২৬,০০০ বেশি। কিন্তু তারা সমীক্ষার কোনো আলোচনাতেই নেই।

হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআইএমের প্রাপ্ত ভোট

২০১৯ লোকসভা১,২১,৫৮৮
২০২১ বিধানসভা ১,৭১,১০০
২০২৩ পঞ্চায়েত সমিতি ২,৯০,০৯১

বর্ধমান-দুর্গাপুর

এবার যাই আরেকটু পশ্চিমে, কেন্দ্রের নাম বর্ধমান-দুর্গাপুর। সেখানেও ঘটনা একই রকম। সি-ভোটার বলছে, সৈন্য সামন্ত মেদিনীপুরে ফেলে এসে বর্ধমানে নোঙর করা বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ নাকি জিতবেন এই আসনে। ঠিক কিভাবে? আবার ফিরে যাই তথ্যে।

গতবারে বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া মাত্র আড়াই হাজার ভোটে জিতেছিলেন এই কেন্দ্রে। তারপরে ৫ বছর নিজের কেন্দ্রে মোটামুটি অ্যাবসেন্ট থেকে, তিনি নির্বাচনে লড়াই করতে গিয়েছেন পাশের কেন্দ্র আসানসোলে।

কিন্তু এবারের সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির যা ফল, তাতে এবিপি – সি ভোটার কিভাবে দিলীপ ঘোষকে এই আসন দিয়ে দিল, তাতে যথেষ্ট অবাক হওয়ার অবকাশ আছে। ২০১৯ সালের লোকসভায় ৬,৫৭,০১৯, তারপরে ২০২১ বিধানসভায় এখানকার ৭ কেন্দ্রে সামান্য বেড়ে ৬,৬৫,১৩৫, আর গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারাই ২,৪৪,৫৪৫। লোকসভার তুলনায় প্রায় ৪,০০,০০০ কম। আর তারথেকেও বড় খবর হলো বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই কেন্দ্রের অন্তর্গত পঞ্চায়েত এলাকা গুলোতে বাম জোটের প্রাপ্ত ভোট ছিল বিজেপির প্রায় দ্বিগুণ। বামেরা পেয়েছিলেন প্রায় ১,৭০,০০০ ভোট সেখানে বিজেপি ভোট পায় ৯৬০০০। এখানকার দূর্গাপুর পুরসভাতে নির্বাচন ২ বছর ধরে বাকি আছে, তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসক বসিয়ে এখানে পুরসভা চালাচ্ছে। বামেদের লাগাতার আন্দোলনের চাপে এবং শক্তি বৃদ্ধিতে শাসক শিবিরে যে ভয় ঢুকেছে তা তাদের নির্বাচন করবার অনীহা দেখলেই বোঝা যায়। আর এই ইস্যুতে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এখানকার বিগত বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার মতই অ্যাবসেন্ট। অথচ সি-ভোটার সমীক্ষকদের দাবী এই কেন্দ্রে নাকি বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ জিতবেন!

বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট

২০১৯ লোকসভা৫,৯৮,৩৭৬
২০২১ বিধানসভা ৫,৮৩,৭৮০
২০২৩ পঞ্চায়েত সমিতি ৯৬,২৬২

বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআইএমের প্রাপ্ত ভোট

২০১৯ লোকসভা১,৬১,৩২৯
২০২১ বিধানসভা ১,৭৪,৮৭৭
২০২৩ পঞ্চায়েত সমিতি ১,৬৯,০১৫

আমরা লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং দিলীপ ঘোষের মত নামকরা বিজেপি নেতাদের কেন্দ্রগুলোর উদাহরণ ও পরিসংখ্যান দিলাম যাতে আপনাদের বুঝতে সুবিধে হয়। কিন্তু এরকম উদাহরণের ছড়াছড়ি। সেইসব এখানে জড়ো করে আমাদের লেখাটাকে আমরা অযথা দীর্ঘায়িত করতে চাইছি না। বরং ফের একবার গরুর গল্পে ফেরা যাক। এই সি-ভোটারই ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের পর অনুষ্ঠিত কলকাতা পুরসভার ভোটে বিজেপি ৩৮% ভোট পাবে বলে ভবিষ্যতবাণী করেছিল। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটেও বিজেপি ঐ কমবেশি ৩৮% এর ওপর ভোট পাবে বলে তারা আগাম পুর্বাভাস করেছিল। আর বাম কংগ্রেস উভয়কে দুই ক্ষেত্রেই দিয়েছিল ১০% এর কম ভোট। বাস্তবে একটাও মেলেনি। গল্পের গরু মুখ থুবড়ে পড়েছিল, যাকে লালমোহনবাবুর ভাষায় বলে পপাত চ! তবে ‘মমার চ’ যে হয় নি তা ভোট আসতেই সেই গরুর ফের একবার ফিরে আসায় বুঝতে পারছি। আর আশ্চর্যজনকভাবে ফের একবার সেই এক গল্প। বিজেপি ৩৮%-৪০% এর কাছাকাছি ভোট পেতে চলেছে।

আর তাই এবারও যে মিলবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

এখন আপনারা হয়ত বলবেন, ৪২ কেন্দ্রে মানুষ ভোট দেবে মোদীকে দেখে। তাহলে আমাদের বলতেই হচ্ছে তৃণমুলের সাথে বিজেপির কোন পার্থক্য থাকছে না! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিন্তু এরকমই বলেন, “সব কেন্দ্রে আমিই প্রার্থী”। মানে দুটো দলই চলে ‘একটাই পোস্ট, বাকিসব ল্যাম্পপোস্ট’ সিস্টেমে। কাজেই বাংলার মানুষ খামোখা এক ল্যাম্পপোস্ট থেকে আরেক ল্যাম্পপোস্টের পেছনে ছুটে মরুক আমরা চাই না।

আমরা চাই আপনারা নিজের ভোট নিজে ভেবে চিন্তে দিন। আপনার ভোট যেন ব-কলমে কোন বেসরকারি সমীক্ষক দল দিয়ে না দেয়!

ধন্যবাদান্তে
রাইজ অফ ভয়েসেস