সেই পুরোনো কাসুন্দি / Firecrackers
আজ এক বছর আগে কালীপুজো, দীপাবলিতে সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর তারপর আমরা বুঝেছিলাম, আমাদের রাজ্যের দায়িত্বশীল নাগরিকরা পরিবেশ রক্ষার পক্ষে না বিপক্ষে, অতিমারীর পক্ষে, না বিপক্ষে, দেশের আইনের পক্ষে, না বিপক্ষে, নাকি ঊর্ধ্বে।
এখন কেউ কেউ বলবেন, ছোট বাচ্চারা একটা ফুলঝুড়ি জ্বলালে কি আর এমন হবে? সেই কেউ কেউদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, আপনার এলাকার এদো পুকুরটা যখন প্রমোটার ভরাট করে অট্টালিকা তুলছিল, তখন কি একই রকম ভাবেই ভেবেছিলেন। একটা পুকুর বুজিয়ে দিলে, কি আর এমন হবে? তারপর, আপনার পাড়ার রাস্তার ধারের গাছটা সৌন্দর্যায়নের নামে, কুটুস করে কেটে দিলেও কি একই রকম ভাবে ভেবেছেন যে, একটা গাছ কাটলে কি আর এমন হবে? ভাবেন কি আদৌ? নাকি চুপ করে থাকেন? তা আমরা জানি না। তবে বড় রাস্তার পাশে যখন সারি দিয়ে গাছ কাটা হয়, তাতে নূন্যতম প্রতিবাদ যখন হয় না, তখন বুঝতে একেবারেই অসুবিধা হয় না প্রকৃতির কাছে কিছু দায়িত্বশীল নাগরিকদের দায়বদ্ধতাকে।
যে সকল দায়িত্বশীল নাগরিকরা ছোটবেলায় পাঠ্যবইয়ে পড়ে এখন যা ভুলে গেছেন, তাদের মনে করিয়ে দিই:
একটা গাছ অক্সিজেন দেয়,
আর একটা বাজি দেয় কার্বন মনোক্সাইড।
সিদ্ধান্ত আপনার, ভবিষ্যতে “অক্সিজেন” – সিলিন্ডার থেকে নেবেন, না প্রকৃতি থেকে নেবেন?
শুধু প্রকৃতিকে নয়, নিজের সুস্থ নিশ্চিন্ত ভবিষ্যতকে বাঁচাতে গাছ লাগান, বেশী করে গাছ লাগান। নাহলে আবার রাত বিরোতে পাড়ার সো কলড্ বখাটে ছেলে মেয়েদের ডাক পড়বে। চিন্তা নেই, ওরা আসবে। মেরেছেন কলসীর কানা, তা বলে কি অক্সিজেন দেবে না?
পরিবেশে কার্বন মনোক্সাইডের যোগান বাড়াবেন না। আবেদন রইল।
সুস্থ থাকুন, সুস্থ রাখুন।
Amartya Bhattacharyya
Bondho hole shudhu baji keno public smoking tao bondho kora hok, sekhaneo to pollution hoy r passive smoking er madhyome bakider khoti hoy. Emotion Tradition er name jol e thakur ebong phul phol phela bondho hok. Plastic bondho hok. Shudhu baji eka ki dosh ki korlo?