কেন আগামী দেড় মাস ভীষণ গরম / Why So Hot?

সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক হোম সেন্টারে পরীক্ষা হল। অভিভাবকরা বলছেন, অন্য স্কুলে মাস্টারমশাইরা দায়িত্ব নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উত্তর সরবরাহ করছেন, এই স্কুলে কেন করবেন না? লকডাউনে ক্লাস হয়নি। তাই কিছু অভিভাবক যুক্তি সহকারে বলছেন, সেজন্যই তো করোনা না থাকলেও মানবিক সরকার হোম সেন্টারের ব্যবস্থা করেছে। আমার এক সহকর্মী বলছিলেন, অদূর ভবিষ্যতে ইনভিজিলেটরের সই করার সাথে সাথে এমসিকিউ-এ নির্ভুলভাবে টিক মার্ক মারার কাজটিও মাস্টারমশাইদের অলিখিত দায়িত্বের মধ্য চলে আসতে চলেছে।

এদিকে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করছে তারা কোনভাবেই অফলাইন পরীক্ষায় বসতে রাজি নয়। কারণ ওরা বলছে, “পাপজি” প্রাকটিস করে সেনাবাহিনীতে যুদ্ধ করা যায় না। ঠিকই বলছে ওরা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা তাও ২৪ সালে ভোটার হবে, কিন্তু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা ইতিমধ্যেই ভোটার। সুতরাং তাদের দেখে লিখতে দেওয়ার দাবি শাসকের পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেকারণেই আগামী দেড় মাস কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনরকম অফলাইন কিছু করা যাবে না সে বিষয়ে এবারের ঘোষণায় সরকার খুব গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র সংসদের আহ্বান, যারা অনলাইন পরীক্ষা চাইছিলেন তারা এই মানবিক রাজ্য সরকারকে সমর্থন করুক।

কিছু মাস্টারমশাইও খুব আশঙ্কায় আছেন দেড় মাস ছুটি শেষপর্যন্ত টিকবে তো! তাদের বলি, বরফ পড়লেও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনলাইন নিশ্চিত না করা পর্যন্ত গরম চলবেই।