চাকরি: দেশের এক নতুন লাক্সারি পণ্য! / Jobs as the New Luxury Item

আমরা জানতাম সোনা, গাড়ি, আর ৫-তারা হোটেলগুলোই “লাক্সারি”। কিন্তু দিন পাল্টেছে। এখন সরকারি চাকরির আবেদনও যেন লাক্সারি পণ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে অবস্থিত কাল্যাণ সিং সুপার স্পেশালিটি ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর চাকরির বিজ্ঞপ্তি যেন সেই বার্তাই দিচ্ছে। কারণ? ১৮% জিএসটি!

ভাবুন একবার, সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে গিয়ে প্রার্থীদের ১৮% জিএসটি দিতে হচ্ছে। আবেদন ফি ১,০০০ টাকা হলে, তার সাথে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে ১৮০ টাকা জিএসটি। আর এটাই কিনা স্বাস্থ্যসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের জন্য চাকরির আবেদন!

এখন প্রশ্ন ওঠে—এই ১৮% জিএসটি সাধারণত কোথায় প্রয়োগ হয়? লাক্সারি পণ্য ও পরিষেবায়। ফাইভ-স্টার হোটেলে রাত কাটানো, বিলাসবহুল গাড়ি কেনা, বা দামি গ্যাজেট কিনলে। আর এখানে সরকারি চাকরি? এ যেন দেশের বেকার যুবকদের জন্য “লাক্সারি ক্রুজ”!

তাহলে কি নতুন বিজ্ঞাপনের স্লোগান হবে?

“সরকারি চাকরি পেতে চান? আবেদন করুন, তবে আগে লাক্সারি ফি দিন!”

ভবিষ্যতে যদি এমন হয়?

  • “প্রিমিয়াম আবেদন পরিষেবা” (দ্রুত প্রক্রিয়ার জন্য বাড়তি ফি)।
  • ইন্টারভিউ হলে “ডিলাক্স ওয়েটিং রুম”!
  • আর চাকরি পেয়ে গেলে “এক্সক্লুসিভ গোল্ডেন মেম্বারশিপ”!

উত্তর প্রদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত হয়তো কিছু মানুষের কাছে হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে, কিন্তু বাস্তবে এটি অসংখ্য চাকরিপ্রার্থীর মাথায় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। তারা ভাবছেন, “চাকরি হবে কি না জানি না, কিন্তু আমার আবেদনপত্র নিশ্চয় লাক্সারি ক্লাসে গণ্য হলো!”

তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়—সরকারি চাকরি কি এখন “জনগণের অধিকার”? নাকি এটি ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে “লাক্সারি প্রোডাক্ট”-এ?

আপনার মত কী?

ধন্যবাদান্তে,
রাইজ অফ ভয়েসেস