খালি সন্দেশ! / The Conglomerate
কেন্দ্রীয় এজেন্সি রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে শাহজাহান বাহিনীর হাতে র্যামপাট মাইর খেয়ে, প্রায় দুই মাস ধরে হাত গুটিয়ে বসে, শাহজাহানকে বঙ্গ সরকারের পুলিশের সেফ কাস্টডিতে কি পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিল? শীতলকুঁচি থেকে বকখালির আনাচে কানাচে এই প্রশ্নে চায়ের ঠেক এখন তোলপাড়।
২০১৩ সালে যখন সন্দেশখালির সিপিআইএম বিধায়ক বিধানসভার ভিতরে বার বার সন্দেশখালিতে জমি লুঠ, বর্গদার উচ্ছেদ, নারী নির্যাতন, গণধর্ষণের মত একের পর এক ইস্যু নিয়ে সরব হচ্ছেন, তখন ধারাবাহিকভাবে তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গণতন্ত্রের পীঠস্থান বিধানসভার ভিতর।
ঠিক সেই সময় “আব কি বার.. ” এর স্লোগান দিয়ে ব্রিগেডে ভাষণ দিতে এসে দিল্লীর “দাদা” তার “দিদির” উদ্দেশ্যে বলে দিয়েছিলেন “দোনো হাত মে লাড্ডু” এর ফর্মুলা। যেই দিদি মনে করেন বিজেপি তাদের স্বাভাবিক মিত্র, ২০০২ এর সেই দাঙ্গার পরেও দাদাকে গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা দিতে তিনি ভোলেননি। যিনি আরএসএসের কায়দায় বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে বলে কাগজ ছুঁড়ে মেরেছেন স্পিকারের দিকে, সেই আরএসএসের দুর্গার জন্য এইটুকু অফার আরএসএসের বর্তমান রাষ্ট্রীয় আইকন দেবেন না? এই প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।
তবে এই অফার যে শুধু কথার কথার নয়, একেবারে মনের কথা সেটার প্রমাণ বহু বার পাওয়া গেছে। সন্দেশখালি ইস্যু যার জ্যান্ত নিদর্শন।
যেই ইডি সিবিআই পাঁচিল টপকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে পারে, যারা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে সব বাধা অতিক্রম করে, তারা সামান্য শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারছে না এটা বিশ্বাসযোগ্য? আইবি শাহজাহানের কোন তথ্য জানে না, এটা হতে পারে?
আচ্ছা তর্কের খাতিরে ধরেই নিলাম তথাকথিত নিরপেক্ষ এজেন্সি গুলো শাহজাহানকে খুঁজে পাচ্ছে না। আচ্ছা বলুন তো ইডি-সিবিআই কি শাহজাহানকে ফেরার বলে ঘোষণা করেছে? ২০২৩ এর নির্বাচনী হলফনামা দেখলে বোঝা যাবে শাহজাহানের অধিকাংশ সম্পত্তি স্থাবর সম্পত্তি অর্থাৎ সেগুলো নিয়ে পালানো মুস্কিল। ইডি সিবিআই কি এই সম্পত্তিগুলো বাজেয়াপ্ত করা শুরু করেছে? কেন?
প্রশ্নগুলো খুব সহজ আর উত্তরও জানা। সকলের জানা।
এর পর তথাকথিত “বাঘ” কি দিদির খাঁচায় ঢুকবে, তারপর নিয়মিত খাওয়ার-জল আশ্রয় পেয়ে সুদীপ্ত সেন ইত্যাদির মত বহাল তবিয়তে থাকবে? আর দাদার এজেন্সি আইনি মঞ্চে সেই বাঘকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার নাটকটা মঞ্চস্থ করতে থাকবে। এইভাবেই কি সেটিং গাড়ির চাকা গড়াতে থাকবে? প্রশ্ন রইল।
তবে সমস্যা একটা আছেই, তেভাগার মাটিতে ঝাঁটা-লাঠি হাতে হাজার হাজার “নিরাপদ” কখন যে এই সেটিংয়ের মহাবিপদের কারণ হয়ে উঠবে সেটার নিশ্চয়তা নেই।
ধন্যবাদান্তে,
রাইজ অফ ভয়েসেস
Comments are closed.