অমৃত ষ্টেশনের সন্ধানে / The Bardhaman Files

এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটা করে শুরু হয়েছিল অমৃত ভারত স্টেশন স্কীম। মনিটর থাকা লোকাল ট্রেনে চাপলেই দেখতে পাবেন নানান স্টেশনের প্রস্তাবিত স্টেশনের নব রূপের আর্কষণীয় স্লাইডশো। বেশ লাগে। এই স্কিমে গোটা দেশের ১৩০৯ রেল স্টেশনের ভোল পাল্টানো হবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য রেল স্টেশনগুলিকে আর্কষণীয়, সুসজ্জিত এবং আধুনিক রুপে পুনর্নির্মাণ করা। ২৪,৪৭০ কোটি খরচ আপাতত নির্ধারণ করা হয়েছে এই উদ্যোগে। রেল সূত্রে জানা গেছে এই প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের ৯৪ রেল ষ্টেশনের নাম আছে। যাদের মধ্যে একটি বর্ধমান জংশন স্টেশন।

আর আজ বুধবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ বর্ধমান স্টেশনে ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে একটি জলের ট্যাঙ্ক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। তাতে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। আহত আরও বহু মানুষ।

এর আগেও ২০২০ সালে এই বর্ধমান রেল স্টেশনেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল একটি পুরনো বারান্দা। এতে দু’জন আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর স্টেশনের সামগ্রিক রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তারপর আজ জলের ট্যাঙ্ক ভাঙল সদ্য অমৃত ভারতের তকমা পাওয়া বর্ধমান ষ্টেশন। অমৃত ভারত স্টেশনের উন্নয়নশীলতায় মৃত মানুষ।

এতক্ষনে অবশ্য বহু প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে আপনি এই ঘটনার ধারা বিবরণী, গ্রাউন্ড রিপোর্ট, রাজনৈতিক কাজিয়া শুনে ফেলেছেন। কিন্তু যেটা শোনেননি সেটা হল, বর্ধমান স্টেশনটি অমৃত ভারত স্টেশন। যে কোন জায়গায় দুর্ঘটনা হতেই পারে, কিন্তু প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের শাসকের পদলেহন এইভাবেই চলতে থাকলে ওয়ার্ল্ড প্রেস ইনডেক্সে শেষের দিক থেকে প্রথম হতে আমাদের খুব একটা দেরী হওয়ার কথা নয়।

আপাতত ওয়ার্ল্ড প্রেস ইনডেক্সে ১৮০ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৬১।

ধন্যবাদান্তে
রাইজ অফ ভয়েসেস