দিদির দূত / Messenger of “Didi”

কদিন ধরেই সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে যে দিদির দূত’রা বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে যাচ্ছেন এবং বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির এতে আনন্দের সীমা পরিসীমা নেই। ভাবছেন, এত ক্ষোভ মানুষের? পঞ্চায়েত ভোটে নির্ঘাত শাসক দলের বিপর্যয় ঘটবে। আসলে শাসক দল পিকে’র দেওয়া ২০২১ এর টোটকাই ঝুলি থেকে বার করেছে “দিদির দূত” নামে।

২০২০ সাল থেকে ১ বছর ধরে পিকে’র দূত’রা এই কাজটাই করেছিল বাংলার ঘরে ঘরে গিয়ে। ততদিনে ভোটকুশলী হিসেবে শাসক দলের হয়ে যে পিকে কাজ করছেন এ কথা সুপ্রতিষ্ঠিত। মানুষ জানতেন পিকে’র দূত’কে বলা আসলে প্রকারন্তরে শাসক দলকেই বলা। মানুষের একগাদা ক্ষোভ শুধুমাত্র ধৈর্য্য ধরে শুনেই অনেকটা প্রশমিত করেছিলেন এই ভোটকুশলী। ফলাফল আমরা বিধানসভা ভোটে দেখতেই পেয়েছি। আসলে
প্রেশার কুকারের সিটি মাঝেমধ্যে উঠে অতিরিক্ত বাষ্প বেরিয়ে যায় বলেই প্রেশার কুকার বার্স্ট করেনা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবার এই সিটির ভূমিকাতেই অবতীর্ণ হয়েছেন দিদির দূত’রা। যাতে ভোট বাক্সে মানুষের ক্ষোভ বার্স্ট না করে।

অবাক করছে আমায় বিরোধী দলগুলোর বক্তব্য। তারা শাসকের কোন পদক্ষেপের বিশ্লেষণ করে মানুষকে বোঝাতে চাইছেন না, বরং শাসকের তৈরী করা ন্যারেটিভের ঝাঁঝালো কাউন্টার ন্যারেটিভ দেওয়াতেই যেন তাদের ভীষণ আনন্দ। এত মধ্যমেধার রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গে জন্মাবধি দেখেছি বলে মনে পড়েনা। যাই হোক, এভাবেই রাজনীতি চলবে আর সাধারণ মানুষের মুরগী হওয়ার মুকুটে একটি করে নতুন পালক সংযোজিত হবে।

আমাদের ভোটনদী চলে আঁকে বাঁকে
বছরের শেষে হাতে পেন্সিল থাকে