#WeWantJustice

দেশে আইনের শাসন কায়েম করবার প্রাথমিক দায়িত্ব সরকারের। তারাই আইন বানায়। তারাই সেই আইনের শাসন বলবৎ করে। সেই মত সরকার বা প্রশাসন দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে কোন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলে প্রকৃত অপরাধী ধরে আদালতে নিয়ে গেলে তার বিচারের দায়িত্ব আদালতের। কিন্তু এখন আইনের শাসনটাই আর বলবৎ নেই। ফলে আসল অপরাধীকে ধরাই একটা মস্ত বড় সমস্যা। সরকার বা প্রশাসন প্রকৃত অপরাধীদের ধরে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে আদৌ চায় কি না সেটাই আজ সব থেকে বড় প্রশ্ন। খেয়াল করলে দেখবেন আমরা এখন অপরাধ বা অপরাধীর বিচার নয়, আসল অপরাধীদের ধরতে আদালতে বেশি ছুটছি। কিন্তু অপরাধী ধরা নয়, তার বিচার করাটা আদালতের কাজ। তাই আজ আদালতের হাত-পা বাঁধা। তাদের কাজ শুরু হয় অপরাধী কাঠগড়ায় উঠলে, তার আগে নয়। কাজেই যারা ভাবছেন হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট আসল অপরাধীদের ধরে সাজা দেবেন তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। যদ্দিন না সরকার বা তার পুলিশ প্রশাসন অথবা তদন্তকারী সংস্থা আসল অপরাধীদের ধরতে পারছে বা ধরতে চাইছে ততদিন তারিখ -পে তারিখ চলবে। আর আপনিও মোমবাতি হাতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এর মত অরাজনৈতিক স্লোগান দিয়ে ঘুরে ঘুরে একসময় হতোদ্যম হয়ে ঘরে ঢুকে যাবেন।

কাজেই আপনি যদি জাস্টিস চান, তাহলে আপনাকে সরকারে সেই লোককে বসাতে হবে যে আইনের শাসন বলবৎ করবে। যে আসল প্রকৃত অপরাধীদের ধরে আদালতে কাঠগড়ায় তুলবে। এখন সেই সঠিক লোককে নির্বাচিত করে সরকারে বসানোর প্রক্রিয়াটা পুরোপুরি রাজনৈতিক। কিন্তু আপনি তো অরাজনৈতিক! আপনি এসব পার্টি-পলিটক্স বোঝেন না! বুঝতে চান না! আপনি শুধু চান সুবিচার! আপনি চান চুল না ভিজিয়ে বেণী ভেজাতে। কিন্তু ‘সুবিচার’ পেতে গেলে আগে যে ‘সুশাসন’ জরুরি এবং সেটা দিতে পারে রাজনৈতিক উপায়ে নির্বাচিত একজন সুশাসক, এই সহজ সরল সত্যটা আমাদের অনেকেরই মাথায় ঢোকে না।

আর যদ্দিন এটা আমাদের মাথায় ঢুকবে না, তদ্দিন তারিখ পে তারিখ চলবে! অপরাধীরা ফায়দা লুঠবে! আমার আপনার নাকের ডগায় এই অ’রাজনীতির’ মধ্যেই অপরাধীরা দিব্যি অক্সিজেন নেবে আর অরাজনীতির ‘ডিমে’ তা দেবে।

চুরি-চিটিংবাজি-খুন-ধর্ষণ ইত্যাদি অপরাধমূলক কাজ চলতেই থাকবে আর আমাদের হাতে হাতে অলিতে গলিতে রাজপথে আরও কিছু মোমবাতি জ্বলবে…. জ্বলতেই থাকবে….

ধন্যবাদান্তে 
রাইজ অফ ভয়েসেস